সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কাঁচা মরিচের কেজি ১০ টাকা

হিলি প্রতিনিধি

ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকায় ও দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে দুই দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকে নেমেছে। দুই দিন আগেও হিলি বাজারে দেশি কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।

ফ১ন্ডে৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল থেকে কমে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে যা আগে ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এদিকে দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষসহ বন্দরে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পাইকাররা। হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা আইয়ুব আলী বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম যখন ঊর্ধ্বমুখী বাড়তি মূল্যের জোগান দিতে যখন আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে, এমন সময় কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে আমাদের মাঝে। যে কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকায় উঠে গিয়েছিল, সেই কাঁচা মরিচের দাম কমতে কমতে বর্তমানে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় নেমেছে। দাম বৃদ্ধির কারণে আমরা বাধ্য হয়ে কাঁচা মরিচ ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছিলাম। এখন দাম কমায় চাহিদামতো কাঁচা মরিচ কিনতে পারছি। এ বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের চাহিদা মেটাতে কিছুদিন ধরে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে বাজারে আমদানিকৃত কাঁচা মচিরে সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কম রয়েছে। সেই সঙ্গে আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে। এতে করে বাজারে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের পাশাপাশি দেশীয় কাঁচা মরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। যার কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। আমরাও কম দামে কিনতে পারছি তেমনি বাজারে কম দামে বিক্রি করছি। এ ছাড়া দাম কমায় আগের চেয়ে কাঁচা মরিচের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, সরবরাহ কমায় দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকায় কাঁচা মরিচের দাম। এমন অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিলে এর পর থেকেই বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। কিন্তু বর্তমানে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করে লোকশান গুনতে হচ্ছে। এর কারণ হলো বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ভালো হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। যার কারণে মোকামগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম অনেকটা কমে এসেছে। বর্তমানে দেশীয় কাঁচা মরিচ ৫০ টাকায় নেমে এসেছে। দেশের বাজারে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের চাহিদা কমায় আমাদের লোকশান করে বিক্রি করতে হচ্ছে। দুই দিন আগে যে কাঁচামরিচ ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছিল বর্তমানে তা কমে ৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। যেখানে এক কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে ২৮ টাকা। ভারত থেকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ বন্দরে এসে পরতা পড়ছে ৯০ টাকার ওপরে। কিন্তু দাম কমায় আমাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে, তাই লোকশান থেকে বাঁচতে কাঁচা মরিচ আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। আবারও দেশের বাজারে চাহিদা বাড়লে আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি আগের তুলনায় কিছুটা এখন কম হচ্ছে। আগে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক হলেও তা কমে গেছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার বন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ১৩ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর