শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নাটোরে সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষে কোমর পানি

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষে কোমর পানি

সামান্য বৃষ্টিতে নাটোরের একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ও মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। অল্প বৃষ্টি হলেই পানি বের হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে স্কুলের মধ্যে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। পানিতে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। সামান্য বৃষ্টিতেই স্কুল মাঠে ও শ্রেণিকক্ষে কোমর সমান পানি হয়। চলাচলের সড়ক তলিয়ে যায় পানির নিচে। পানি নিষ্কাশনের পথ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছে বসতবাড়ি। ফলে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ স্কুলটির মাঠ সংস্কারের কোনো উদ্দ্যোগ নেই। বিদ্যালয়টি হলো নাটোর সদর উপজেলা ছাতনী ইউনিয়নের নান্নুর মোড় এলাকায় অবস্থিত চক আমহাটি উচ্চবিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা বলছে, বিদ্যালয় মাঠে ও যাতায়াতের সড়ক এমনকি শ্রেণি কক্ষের ভিতরেও পানি থাকার কারণে ক্লাস করতে পারছে না ছাত্রছাত্রী। ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয় আসার পথে পা পিছলে পড়ে গিয়ে পরনের স্কুল ড্রেস নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। তাই তারা এ থেকে প্রতিকার চায়। বিদ্যালয়ের আষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. হাসান মিয়া ও রতন গাজী জানায়, মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত খেলাধুলা করা যায় না। একটু বৃষ্টি হলেই একটি ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া বিদ্যালয় থেকে রাস্তায় যাওয়া যায় না। এ ছাড়া স্কুলের চারদিকের পানি মাঠে এসে জমা হয়। ফলে অল্প পানিতেই ক্লাস রুমগুলো ভরে যায়।  কয়েকজন অভিভাবক জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে স্কুল মাঠে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হলে স্কুল ছুটি দিয়ে দেন শিক্ষকরা। ফলে সন্তানদের নিয়ে বৃষ্টি মাথায় ও বজ্রপাতের ভয় নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। অভিভাবকদের দাবি মাঠ থেকে পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক। চক আমহাটি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম বলছেন, সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই মাঠে অ্যাসেম্বলি করা সম্ভব হয় না। ছাত্রছাত্রীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারে না। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস রুমের ভিতরে পানি প্রবেশ করায়, ক্লাস নিতেও সমস্যা হয়। আর এ সমস্যার কারণে অনুপস্থিত থাকে অনেক শিক্ষার্থী। আর কিছু দিন পরে বার্ষিক পরীক্ষা। এখন যদি ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয় না আসে তাহলে তাদের রেজাল্ট খারাপ করবে। তাই দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ছাতনী ইউপি সদস্য মো. এমদাদুল হক মিয়াজী বলেন, এ স্কুলের জলবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার হোসেন জানান, আমি নিজে স্কুলটি সরেজমিন পরিদর্শন করব, বিদ্যালয়ে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন তারপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হবে। পানি নিষ্কাশনের পথ অবমুক্ত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান অভিভাবক ও সচেতন নাগরিকরা।

 

সর্বশেষ খবর