মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে জনদুর্ভোগ

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে জনদুর্ভোগ

আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নের সাত গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরের সঙ্গে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সড়কের খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ‘মরণফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে পলেস্তারা উঠে গেছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তিনটি সরকারি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী রেলিং ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এলাকাবাসী জানান, ১৯৮২-৮৩ সালে সেতুটি নির্মিত। ওই এলাকার ইউপি সদস্য কাওছার ফকিরের নামে সেতুটি পরিচিত। কাওছার ফকিরের ছেলে বর্তমান ইউপি সদস্য কালু ফকির বলেন, ‘সেতুর রেলিং ভেঙে গেছে। এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। আমরা ইউপি চেয়ারম্যানকে অনেকবার বলেছি। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির বেহাল অবস্থা। এখানে দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’ চরডাঙ্গা মর্নিং স্টার একাডেমির প্রধান শিক্ষক এ টি এম মুন্নু মিয়া বলেন, ‘মধুমতী নদীর ভাঙনে চার বছর আগে বাজড়া সড়ক বিলীন হওয়ার পর থেকে এ ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।’ চরধানাইড় গ্রামের আক্কাস ভূইয়া বলেন, ‘উপজেলার সঙ্গে আমাদের একমাত্র যোগাযোগের সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এলাকার কেউ অসুস্থ হলে জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স আনা সম্ভব হয় না।’ চরডাঙ্গা গ্রামের মুরাদ হোসেন বলেন, ‘পানির অভাবে পাট জাগ দিতে কষ্ট হচ্ছে। খালে কিছু পানি জমেছে সেখানে পাট নিতে হলে সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। শুধু পাট নয়, যে-কোনো ফসল আনা-নেওয়া করার জন্য এ ভাঙা সেতুই আমাদের ভরসা।’ আলফাডাঙ্গা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্টের কাজ শেষ হয়েছে। ডিজাইনের কাজ সম্পন্ন হলে যে-কোনো সময় টেন্ডার হয়ে যাবে।’

সর্বশেষ খবর