বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্যবসায়ীদের দখলে ফুটপাত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

ব্যবসায়ীদের দখলে ফুটপাত

নেত্রকোনা পৌরশহরে ফুটপাতে চলছে সবজি বেচাকেনা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

এক সড়কের নেত্রকোনা পৌর শহরে নেই পর্যাপ্ত ফুটপাত। যেটুকু রয়েছে তার সবটাই ব্যবসায়ীদের দখলে। হেঁটে চলার সুযোগ নেই। মাত্র এক কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে যানজটে বসে থাকতে হয় আধা ঘণ্টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা।

জানা যায়, ২১.০২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের নেত্রকোনা পৌরসভা কাগজে-কলমে ‘ক’ শ্রেণির হলেও সড়কে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। একটি মাত্র প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করে পুরো শহরের মানুষ। মোক্তারপাড়া মগড়া নদীর ব্রিজ থেকে তেরিবাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারে কোনো ফুটপাত নেই। কোথাও এক পাশে আছে তো অন্য পাশে নেই। যেটুকু ফুটপাত আছে তার পুরোটাই ফল-মূল আর শাকসবজিসহ বিভিন্ন দোকানিদের দখলে থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। প্রায় এক কিলোমিটার ফুটপাতে সাতটি পয়েন্টে ৭০টি ফল, ১৫০টি শাকসবজি, ২০টি ফুচকা ও অর্ধশত কাপড়ের দোকান রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের মানুষের হাঁটাচলায় ভোগান্তি পোহাতে হয়। সাধারণ মানুষ বলছেন, ফুটপাতমুক্ত করে দিলে যানজট থাকলেও মানুষ অল্প সময়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতেন। এখন বসে থাকা লাগে। স্থানীয়রা জানান, মোক্তারপাড়া থেকে মেছুয়াবাজার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে রয়েছে ফুটপাত। আবার মেছুয়াবাজার থেকে তেরিবাজার সবখানে নেই। পোদ্দারপট্টি পর্যন্ত একপাশে আছে অপর পাশে ফুটপাত নেই। এরপর তেরিবাজার থেকে আবার থানার মোড় পর্যন্ত কোনো পাশেই নেই ফুটপাত। অনেক জায়গায় সরু সড়ক। মোক্তারপাড়ার তিনটি স্কুলের সামনে এবং মেছুয়াবাজার ও ছোট বাজার পর্যন্ত ফুটপাতে ফল-মূল, ফুচকা, শাকসবজি আর কাপড়চোপড়সহ নানা ধরনের ব্যবসায়ীর দখলে। কোনোভাবেই ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যায় না। সড়কে নেমেই পড়তে হয় ঝুঁকিতে। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ এসব দেখার কেউ নেই। সুপার মার্কেটের সামনের ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের বললেই তারা দোকানে ঢুকে যাবেন। ফল ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের কোথাও জায়গা নেই; তাই ফুটপাত দখল করে আছেন। নেত্রকোনা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান বলেন, করোনাকালে সাবেক জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের সড়কে বসতে দিয়েছিলেন। এরপর অনেকে সেখানে রয়ে গেছেন। এদের সরানো হয়েছিল। কিন্তু আবার বসে পড়েছেন। তবে এবার দ্রুতই সড়কের উভয় পাশ দখলমুক্ত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর