বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জমজমাট পাটকাঠির হাট

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

জমজমাট পাটকাঠির হাট

বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে জমে উঠেছে পাটকাঠির হাট। সপ্তাহে বৃহস্পতি ও সোমবার এ হাট বসে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষকরা পাটকাঠি এনে এ হাটে বিক্রি করেন।

জানা যায়, উনিশ শতকের বাংলার মুসলিম জাগরণের অগ্রদূত ও সমাজসেবক নবাব আবদুল লতিফ তাদের জমিতে রাজাপুর বাজার বা হাটের ব্যবস্থা করেন তার এলাকার মানুষের জন্য। সেখান থেকে হাটের যাত্রা। মূলত চতুল ও দাদপুরের ইউনিয়ন পানের বরজের জন্য পরিচিত। বরজে পাটকাঠির অধিকতর ব্যবহার করা হয়। সে কারণে এ হাটে বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকরা পাটকাঠি এনে বিক্রি করেন। ক্রেতা-বিক্রেতা পান গণনার মতো পাটকাঠির হিসাব করে থাকেন। প্রতি চারটা পাটকাঠিতে এক গোন্ডা। এর আট গোন্ডায় এক পৌন। ষোলো পৌনে এক কাওন। এক কাওন ভালো মানের পাটকাঠি বর্তমান বাজার মূল্য ৩০০-৪০০ টাকা। পাটকাঠি ব্যবসায়ী মুনজু মোল্যা বলেন, বোয়ালমারী উপজেলার রাজাপুর এলাকায় পাটকাঠির একমাত্র ঐতিহ্যবাহী হাট হিসেবে পরিচিত। এ এলাকায় পানের বরজে পাটকাঠির অধিক ব্যবহারের কারণে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, বোয়ালমারী উপজেলায় মোট ১৫ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। এবার ভরা মৌসুমে পানির সংকটে চাষিদের পাট উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়েছিল। তুলনামূলক এই অতিরিক্ত খরচ পুষিয়ে নিতে পাটকাঠি ভাল ভূমিকা রাখছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর