আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর শুভ মহালয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই পূজা ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির ধুম। জেলায় প্রতিমা তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এবার দিনাজপুরে ১২৮৩টি মন্ডপে হবে শারদীয় উৎসব। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে পূজার প্রস্তুতি। তৈরি হচ্ছে গেট। চলছে মন্ডপ আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ। পূজার আমেজে বেড়েছে কেনাকাটা। শহরের বিভিন্ন শপিংমলে ভিড় বাড়ছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব কমে যাওয়ায় উৎসাহ বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিমা কারিগর শ্যামল, নরেন, কার্তিক, রতন বলেন, পূজা উদযাপন কমিটির লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী এবার প্রতিমার আকার ও ডিজাইনে ভিন্নতা এসেছে। প্রতিমা তৈরি করা অনেক কষ্টের। এ কাজে আগের মতো আর লাভ হয় না। তারপরও করতে হয়। দুই এক-দিনের মধ্যে তৈরি করা প্রতিমার রং ও সাজ-সজ্জার কাজ শেষ হবে। আর প্রতিমা তৈরির মজুরি প্রতিমার আকার অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। প্রতিমার আকার ও শৈল্পিক গঠন অনুযায়ী শিল্পীরা ১০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার বলেন, এ বছর দিনাজপুরে ১২৮৩টি মন্ডপে আয়োজন করা হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রতিমা শিল্পীদের নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। মাটির কাজ শেষে রঙ-তুলির আঁচরে বর্ণিলভাবে প্রতিমার রূপ দেওয়া হচ্ছে। তারা আরও জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর বোধন শেষে ১ অক্টোবর ষষ্ঠি পূজা এবং ৫ অক্টোবর শুভ বিজয়া দশমির মধ্যদিয়ে এবার শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে প্রশাসন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলেও জানান তারা।
