শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ময়মনসিংহে সংঘর্ষে প্রাণ গেল নির্মাণ শ্রমিকের

হবিগঞ্জে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫০

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ফরিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে দুপুরে উপজেলার ছিলিমপুর বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নির্মাণ শ্রমিক ছিলিমপুর গ্রামের মৃত মোকশেদ আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ছিলিমপুর গ্রামের পুরাতন মোড়ে একটি বেকারির পরিবেশককে মারধরের পর মালামাল ছিনতাই করে কয়েকজন যুবক। অভিযুক্ত যুবকরা ছিলিমপুর ও খয়রা দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে ছিনতাইয়ের ঘটনার পরপরই ওই রাতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। পরে ছিনতাইয়ের ঘটনার জেরে বুধবার দুপুরে ছিলিমপুর বাজারে সংঘর্ষে ফরিদুল ইসলামসহ দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরিবারের লোকজন ফরিদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে বুধবার রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ফরিদুল নিহতের খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন ছিলিমপুর গ্রামে কমপক্ষে ১৫টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। গৌরীপুর থানার ওসি খান আবদুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি। এদিকে হবিগঞ্জে জলমহাল থেকে মাছ ধরা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গিরঘাট ও রামনগর গ্রামবাসীর মধ্যে গতকাল এ সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মর্তুজ আলী বলেন, টঙ্গিরঘাটের সমশেদ আলীসহ তার লোকজন পাশের বাগাডলি জলমহাল ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেন। আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে রামনগরের আফজল মিয়া লোকজন নিয়ে ওই জলমহালে মাছ ধরতে যান। মহালের পাহারাদার সেবলু মিয়া ও বজলু মিয়া বাধা দিলে আফজল গং তাদের মারধর করেন। খবর পেয়ে সমশেদ আলী লোকজন নিয়ে জলমহালে গেলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হন। এর মধ্যে ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।

সর্বশেষ খবর