মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হচ্ছে গরু, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হচ্ছে গরু, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু

লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন রোগ। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গরুর মালিক ও খামারিরা। তাদের অভিযোগ, জেলা কিংবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে কোনো ধরনের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। আক্রান্ত প্রতিটি গরুর চিকিৎসায় খরচ পড়ছে ৪-৫ হাজার টাকা। এ ব্যয় বহনে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানালেন তার অসহায়ত্বের কথা। তিনি বলেন, হঠাৎ এ রোগ বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছি আমরা। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, লালমনিরহাটে গরু রয়েছে ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৯৩টি। খামারির সংখ্যা ৬৭৩। কী পরিমাণ গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে-তার সঠিক হিসাব তাদের কাছে নেই। তবে তিন ভাগের এক ভাগ গরু এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কয়েকজন খামারি জানান, হঠাৎ গরুর শরীর গরম হয়ে জ্বর আসে। চামড়ায় ফোসকা পড়ে। এরপর চামড়া উঠে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ সময় গরু খাওয়া ছেড়ে দেয়। ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। গ্রাম ঘুরে দেখা যায় লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত গরু। চলবলা ইউনিয়নের নিথক গ্রামের আবু সাইদ বলেন, তার দুটি গরুর এ রোগ হওয়ার পর একজন চিকিৎসক ৭ হাজার টাকার ওষুধ লিখে দিয়েছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে কোনো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না।  রোকেয়া বেগম নামে একজন জানান, তার তিনটি গরু লাম্পি স্কিনে আক্রান্ত হয়েছে। গ্রামের পল্লী চিকিৎসক দিয়ে ১০ দিন থেকে চিকিৎসা করাচ্ছি, কোনো কাজ হচ্ছে না। কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের কোনো মাঠকর্মী বা কর্মকর্তা মাঠে আসেন না। তাদের কাছে আমরা না পাই কোনো পরামর্শ, না পাই ওষুধ। তাদের কাজ কী তাও আমরা জানি না। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আক্রান্ত গরুর চিকিৎসায় মেডিকেল ক্যাম্প করা হচ্ছে। জেলায় দ্রুত রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় জনবল সংকটে সেবা দিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওষুধ বরাদ্দও অপ্রতুল। তিনি আরও বলেন, মশা ও মাছি লাম্পি রোগের ভাইরাস ছড়ায়। এমনকি আক্রান্ত গরুর লালাযুক্ত খাবার অন্য গরুকে খাওয়ালেও এ ভাইরাস ছড়ায়। আক্রান্ত গরুকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

 

 

সর্বশেষ খবর