নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিন গড়ে আটটির বেশি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটছে। এর নেপথ্যে অন্যতম কারণ পরকীয়া প্রেম ও ফেসবুক প্রেম। এ ছাড়া যৌতুকের জন্য নির্যাতন, মাদকাসক্তি, দ্বিতীয় বিয়ে, পারিবারিক কলহ, অভাব-অনটনে কারণেও বিচ্ছেদ হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্র বলছে, ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী মুসলিম শরিয়াহ মোতাবেক নারায়ণগঞ্জে বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে ৮ হাজার ১৮৩টি। এ সময়ে বিচ্ছেদ হয়েছে ৩ হাজার ১৪২ জনের। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে আটটির বেশি তালাক হয়েছে। ২০২০ সালের এক তথ্য বলছে, ওই বছর জেলায় ৭ হাজার ৩২৬টি বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। বিচ্ছেদ হয়েছে ২ হাজার ৫৬৩টি। ২০১৯ সালে ৯ হাজার ৭১৫টি বিয়ের রেজিস্ট্রি হয়েছে। তালাক হয়েছে ৩ হাজার ২৯৮টি। ২০১৮ সালে ১০ হাজার ১২৩টি বিয়ে ও বিচ্ছেদ হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৩। এসব পরিসংখ্যান বলছে নারায়ণগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে তালাক। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তালাকবিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, ‘গত এক বছরে আমাদের এখানে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়েছে ৯৮১টি। সবগুলো বিচ্ছেদে পরিণত হয়েছে।’ এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার ডিরেক্টর মাহমুদুর রহমান ডালিয়া বলেন, আমাদের এখানে তালাকসহ নানা বিষয়ে বিচার হয়। আমরা দেখেছি বিশেষ করে মোবাইল ফেসবুকে পরকীয়া, যৌতুক আর উপার্জনের চেয়ে সংসারে চাহিদা বেশি থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ বেড়েছে। এ ছাড়া মাদকাসক্ত, বেকারত্ব, অভাব-অনটন, নারী নির্যাতন এগুলোও তালাকের কারণের মধ্যে রয়েছে।
