রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর ভাঙন কয়েক বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের কারণে অনেক আগেই বন্ধ হয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট। সম্প্রতি বন্ধ হলো ৩ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট। গত দুই মাসের ভাঙনে এ প্রান্তের আরও দুটি ঘাট বন্ধ করতে বাধ্য হয় বিআইডব্লিউটিএ।
সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে ভাঙনের কবলে পড়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। তখন এ প্রান্তের ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় দুই মাসে দৌলতদিয়া প্রান্তের ৫ নম্বর ফেরিঘাট সচল করতে পারেনি বিআইডব্লিউটিএ। বৃহস্পতিবার সকালে আবার ভাঙনের কবলে পড়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট। এরপর ৩ নম্বর ফেরিঘাটও বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, দৌলতদিয়া প্রান্তে সাতটি ঘাট রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের ভাঙনে ৩ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ রয়েছে। ২০১৯ সালের ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় দৌলতদিয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর ঘাট। বর্তমানে ৭, ৬ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাট সচল রয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা বাড়লে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ৬ ও ৭ নম্বর ঘাটটিও। ভাঙন রক্ষায় বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। ফেরিঘাটের ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, ‘আমরা আর কত কথা বলব। আমরা সব মেনে নিয়েছি। দৌলতদিয়ায় জন্ম নেওয়া আমাদের পাপ ছিল।’ ভাঙন রোধে তাঁর দোকান সরানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান। দৌলতদিয়ার বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘পদ্মার ভাঙন তো আজ শুরু হয়নি। নদী অনেক দূরে ছিল। দৌলতদিয়ার অনেক মানুষ ছয়-সাত বার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। অনেকের ভিটেমাটি পর্যন্ত নেই। সরকারের এ দীর্ঘমেয়াদে ফেরিঘাট এলাকায় বসবাসকারীদের রক্ষা করতে পারছে না।’
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘দৌলতদিয়া প্রান্তের সাতটি ঘাটের মধ্যে ৩ ও ৫ নম্বর ঘাট ভাঙনের কবলে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রক্ষার। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তখন ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান হবে।’