রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

৬৩ বছর পর যৌবন ফিরছে পাঁচুড়িয়া খালের

এলাকায় বইছে খুশি জোয়ার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত পাঁচুড়িয়া খালের সঙ্গে মধুমতি নদীর পুনঃসংযোগ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে গতকাল। এর ফলে দীর্ঘ ৬৩ বছর পর খালটি যৌবন ফিরে পাবে। এ নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে বইছে খুশির জোয়ার। শহরের পাঁচুড়িয়া পৌর নিউমার্কেট এলাকায় এ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। এ সময় পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন নাহার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমিন, গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন, এলজিইজির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী ফাইজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহসীন উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত  ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাঁচুড়িয়া খাল দিয়ে টুঙ্গিপাড়া থেকে নৌপথে গোপালগঞ্জ আসা যাওয়া করতেন। ১৯৫৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এ খালের মুখ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন খালটির পানি প্রবাহ বন্ধ থাকা ও দখল আর দূষণে মৃতপ্রায় অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। ৬৩ বছর পর খালটির বন্ধ মুখ অবমুক্ত করার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। এর ফলে দূষণ আর দখল থেকে রক্ষা পাবে খালটি। নৌ-চলাচলের সুবিধাসহ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। খালের মুখ উন্মুক্ত করার খবরে বিপুল সংখ্যক মানুষ খালপাড়ে ভিড় করেন। তাদের চোখেমুখে ছিল আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র শেখ রকিব হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে খালের পানি প্রবাহ আটকে রাখায় কচুরিপানা ও ময়লার স্তূপ তৈরি হয়েছিল। দখলে ছোট হয়ে যাচ্ছিল এর প্রশস্ততা। পানি পচে দুর্গন্ধ ও মশামাছির প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল শহরের মধ্য দিয়ে যাওয়া খালটি। তিনি আরও বলেন, পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর খালের ময়লা অপসারণ ও কচুরিপানা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত পাঁচুড়িয়া খালে দীর্ঘদিন ধরে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল। আমরা মধুমতি নদীর সঙ্গে খালটি পুনসংযোগ স্থাপন করে অবাধ পানি প্রবাহের উদ্যোগ নিয়েছি। এ খাল ঘিরে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি শহরবাসীর জন্য দর্শনীয় স্থান হবে। এ ছাড়া জেলাবাসী খালটি নানা কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

 

সর্বশেষ খবর