রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল

পর্যটকে মুখরিত সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। সমুদ্রের নোনা জলে নেচে গেয়ে উন্মাদনায় মেতেছেন পর্যটকরা। দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শুক্রবার সকাল থেকে বিপুল পর্যটকের আগমন ঘটে। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। দক্ষিণের নির্মল বাতাস, সাগরের নীল জলরাশি আর সৈকতের লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণর-এসব দৃশ্য উপভোগ করতে পেরে মুগ্ধ সবাই। কেউ সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউ বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রকৃতি। পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল-মোটেল মালিকরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, আগের তুলনায় পর্যটক উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। কুয়াকাটার কুয়া, সৈকতের লেম্বুরবন, গঙ্গামতির লেক, লাল কাঁকড়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার, শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট ঘুরে ঘুরে দেখছেন পর্যটকরা। থেমে নেই সৈকতে ফটোগ্রাফার ও ঘোড়ার দৌড়। সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, আগে ফেরি পার হয়ে ঢাকা থেকে সড়কপথে কুয়াকাটা আসতে সময় লাগতো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। এখন পদ্মা সেতু হওয়ায় ভোগান্তি কমেছে। মাত্র ছয় ঘণ্টায় এখানে আসা যায়। তাই ভ্রমণপিপাসুরা কুয়াকাটাকেই বেছে নিয়েছেন। সবুজ শিকদার নামে এক পর্যটক বলেন, কুয়াকাটা আমার প্রিয় স্থান। ছুটি পেলেই বার বার এখানে ছুটে আসি। হোটেল গোল্ডেন ইন কুয়াকাটার স্বত্বাধিকারী জহিরুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি ঘিরে পর্যটকের ব্যাপক চাপ রয়েছে। আমাদের হোটেলের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখনো পর্যটকরা অনলাইনে কিংবা ফোনে বুকিং করছেন।

কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে পর্যটক সমাগম বেশি হচ্ছে। মহিপুর থানার ওসি খোন্দকার আবুল খায়ের বলেন, প্রতিদিনই থানা পুলিশরা টিম পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ. খালেক জানান, পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর