রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

দুর্গোৎসব ঘিরে জমেছে কেনাকাটা

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

দুর্গোৎসব ঘিরে জমেছে কেনাকাটা

পছন্দের শাড়ি কিনতে চলছে যাচাই-বাছাই। বগুড়ার একটি মার্কেটের ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ উৎসব ঘিরে বগুড়ার মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। পোশাক ও প্রসাধনীর দোকানে ভিড় করছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। চাহিদা অনুযায়ী বাহারি শাড়িসহ অন্যান্য পোশাক কিনছেন নারী-পুরুষ ও শিশুরা। সরেজমিন দেখা যায়, বগুড়ার সব মার্কেটে রয়েছে হরেক রকম ডিজাইনের শাড়ির পাশাপাশি সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, জিন্স, টি-শার্ট। অনেকে পছন্দের জিনিস কিনতে এক মার্কেট থেকে ছুটছেন অন্য মার্কেটে। মেয়েদের শাড়ি, থ্রি-পিস ও বাচ্চাদের পোশাক সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। শহরের নিউ মার্কেটের মজিদ বস্ত্রালয়ের ব্যবসায়ী শেখ সাঈদ জানান, এবার দুর্গাপূজায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শাড়ি। শাড়ির মধ্যে রয়েছে জরজেট, কাঞ্চিবরণ, গাদোয়ান, মাকসসিল ও টিসু কাতান। প্রকার ভেদে এসব শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। এসব শাড়ি ভারতের তৈরি। বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষও শহরমুখী হওয়ায় শহরের বড়গোলা, থানা মোড়, ফতেহ আলী মোড়, কাঁঠালতলা, ইয়াকুবিয়ার মোড়সহ আশপাশ রাস্তায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হচ্ছে যানজট। এতে ক্রেতাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। তবে যানজট উপেক্ষা করে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে পছন্দসই পোশাক কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। নিউ মার্কেট, আলতাফ আলী সুপার মার্কেট, রানার প্লাজা, জলেশ্বরীতলার বিভিন্ন বিপণিবিতানে ক্রেতার আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। পূজার সময় যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের উপস্থিতি ও বেচাকেনা তত বাড়ছে।

সোনালি সরকার নামে একজন জানান, বরাবরই পূজার সময় দেশীয় পোশাক পরি। সব সময় কেনাকাটাও করি বুটিক হাউস থেকে। তবে এবার ভিন্ন ধরনের পোশাক কিনব ভাবছি। বগুড়ার পীরগাছা এলাকার সুমিতা রানী জানান, পূজায় নারীদের শাড়িই বেশি পছন্দ। একটি জামদানি অথবা কাতান শাড়ি কিনতে মার্কেটে এসেছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার দাম অনেক বেশি। শহরের শিববাটি এলাকার মালতী রানী বলেন, গত বছর করোনার কারণে বের হতে পারিনি। এ কারণে কিছু কিনতেও পারিনি। এবার করোনার প্রকোপ কম। তাই পরিবারের সবাই মিলে পূজার কেনাকাটা করতে আসেছি। নিউ মার্কেটের তাঁত সম্ভারের মালিক রঞ্জিত সরকার বলেন, এবার পূজার বাজারে বিদেশি কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি কাপড়ও কিনছেন কেউ কেউ। ক্রেতারা সাশ্রয়ী দামে কাপড় কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছেন। জলেশ্বরীতলার ব্যবসায়ী মানিক হোসেন জানান, পূজার কেনাকাটায় এবার বেশ ভিড়। তাদের এখানে বেশির ভাগই থ্রি পিস কিনতে আসছেন। বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, পূজা উদযাপনে জেলা পুলিশ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। নির্বিঘ্নে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রস্তুতি সভা হয়েছে। সেখানে পূজা উদযাপন কমিটি ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জেলায় ৬৭৯টি মণ্ডপে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে পূজা উদযাপন হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর