লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের সরকারেরহাট থেকে বাঁশকাটা গ্রাম পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক ভাঙা। কার্পেটিং উঠে বেশির ভাগ অংশ সরু হয়ে গেছে। পুরো সড়কে রয়েছে অসংখ্য গর্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এই সড়ক চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে গেছে।
পাটগ্রাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, জোংড়া ইউনিয়নের সরকারেরহাট থেকে বাঁশকাটা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়। এরপর আর সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। সরেজমিন দেখা যায়, এই সড়কে বাইসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ভারী যানবাহন চলাচল করছে। কার্পেটিং উঠে সড়ক সরু হয়ে গেছে। ৫ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে তিনটি সেতু। সেতুগুলোর দুই পাশের অংশেও তৈরি হয়েছে গর্ত। এ ছাড়া সড়কজুড়ে রয়েছে খানাখন্দ। বৃষ্টি এলেই এসব গর্তে পানি ও কাদা জমে যায়। তখন হেঁটেও চলাচল করা যায় না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জোংড়া ইউনিয়ন ও জগৎবেড় ইউনিয়ন অংশের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র পথ এই সড়ক। ভাঙা সড়কের কারণে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জোংড়া ইউনিয়নের বাঁশকাটা গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘এ সড়কের কারণে ধান, ভুট্টা পাটগ্রাম সদরের হাটে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর। গাড়িচালকরা কৃষিপণ্য কিছুতেই নিয়ে যেতে চান না। ভাড়া তিন গুণ দিলে তবেই রাজি হন। হাটে সময়মতো পণ্য নিয়ে যেতে না পারলে সঠিক দামে বিক্রিও করা যায় না। তাই আমাদের ক্ষতি হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সড়কটি সংস্কার করার কি কেউ নেই? সাহাবুল্লা (২২) নামের এক ভ্যানচালক বলেন, রাস্তা ভাঙা। মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই ভ্যান নষ্ট হয়। এ জন্য সামর্থ্যরে তুলনায় কম মাল নিতে হয়। তবু গাড়ির চাকা ও অন্যান্য অংশ ভেঙে যায়। আমাদের মতো গরিব মানুষের ক্ষতি হয়। পাটগ্রাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মাহাবুব-উল আলম বলেন, এ সড়ক মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা পেলে নিয়ম মেনে দ্রুতই সড়কটি মেরামত করা হবে।
