সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

কুড়িগ্রামে প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেফতার ৬ আসামির মধ্যে আরও দুই আসামি ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমান রাসেলের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সকালে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলীর আদালতে আসামিদের জামিন ও রিমান্ডের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে এই আদেশ দেন তিনি। এই মামলার প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। ভূরুঙ্গামারী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজাহার আলী জানান, দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। মূল আসামি লুৎফর রহমান তিন দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দিলরুবা আহমেদ শিখা জানান, আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতিসাধন করেছেন। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এ পর্যন্ত  পাঁচজন শিক্ষক এবং একজন অফিস সহায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন, কৃষিবিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। এজাহার নামীয় আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছেন। এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি। গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনের নামে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর