বুধবার, ৫ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সপ্তাহের ব্যবধানে হিলিতে চালের দাম কমেছে কেজিতে ৪/৬ টাকা

হিলি প্রতিনিধি

সপ্তাহের ব্যবধানে হিলিতে চালের দাম কমেছে কেজিতে ৪/৬ টাকা

সরকারিভাবে খোলাবাজারে ওএমএসএর কমদামে চাল বিক্রি অব্যাহত থাকায় দিনাজপুরের হিলিতে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সবধরনের চালের দাম কেজিতে ৪/৬ টাকা করে কমেছে। চালের দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন। খোলাবাজারে চাল বিক্রি অব্যাহত থাকলে দাম এমন থাকবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি চালের দোকানেই পর্যাপ্ত চালের মজুদ রয়েছে কিন্তু বেচাকেনা তেমন একটা নেই। এতে করে সবধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে। মিনিকেট জাতের চাল এক সপ্তাহ পূর্বে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া স্বর্ণা-৫ জাতের চাল পূর্বে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৪৯ থেকে ৫০ টাকা। ২৯ জাতের চাল পূর্বে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা লাভলী আকতার বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার একার উপার্জনের অর্থ দিয়ে সংসার খরচসহ ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খরচ চালাতে হয় আমাকে। কিন্তু যে হারে চালের দাম বাড়ছিল তাতে করে ব্যয়ভার মেটাতে আমাদের মতো মানুষদের খুব সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

 যার কারণে আমাদের কিনতে সুবিধা হয়েছে।

 চালের দাম যেন আরও কমে তাহলে আমাদের মতো মানুষদের ব্যয়ভার মেটানো সুবিধা হবে। হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা সামছুল ইসলাম বলেন, বাজারে চাল কিনতে এসে দেখি কয়েকদিন আগে যে দাম দিয়ে চাল কিনে নিয়েছিলাম তার চেয়ে দাম কিছুটা কমেছে। কেজি প্রতি ৪/৬ টাকা করে চালের দাম কমেছে এতে করে আমাদের সুবিধা হয়েছে। তেমনি দাম কমার কারণে একটু বেশি করে খাওয়ার জন্য চাল ক্রয় করলাম। হিলি বাজারের চাল বিক্রেতা সুব্রত কুন্ডু বলেন, সবধরনের চালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪/৫ টাকা করে কমেছে। এর মূল কারণ হলো সরকার ওএমএসএর মাধ্যমে খোলাবাজারে চাল বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।

যে ৫ কেজি চাল বাজারে দোকান থেকে কিনতে সাধারণ মানুষকে ২৫০ টাকা গুনতে হতো সেই চাল ওএমএসে মাত্র ১৫০ টাকায় পাচ্ছে। যার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষজন কম দামে চাল কিনতে পারায় তারা এখন সবাই ওএমএসএর চালের প্রতি ঝুঁকেছে। এতে করে বাজারে চালের কোনো বেচাকেনা তেমন নেই বললেই চলে। যার কারণে চাহিদা কমায় মিলাররা দাম কমিয়ে দেওয়ায় মোকামে চালের দাম কিছুটা কমায় স্থানীয় বাজারেও চালের দাম কমতে শুরু করেছে। খোলাবাজারে যতদিন ওএমএসএর চাল বিক্রি অব্যাহত থাকবে ততদিন চালের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, সারা দেশের ন্যায় হিলিতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস-এর চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই তিন মাসে সপ্তাহে পাঁচ দিন করে মাসে সর্বচ্চো ২২ দিন করে তিনটি ডিলার পয়েন্টে প্রতিদিন ৬ টন করে চাল সাধারণ মানুষের মাঝে বিক্রয় করা হবে। চালের মানসহ অন্যান্য সব বিষয় আমরা নজরদাড়ির মধ্যে রেখেছি। আমাদের ট্যাগ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থাকেন এ বিষয়ে ডিলারদেরকে অবহিত করা হয়েছে। এর পরেও যদি কোথাও কোনো চাল বিতরণে অনিয়ম বা অবহেলার খবর পাই আমরা অবশ্যই সেই ডিলার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

সর্বশেষ খবর