বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
জরাজীর্ণ সাঁকো

দুর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ

বেনাপোল প্রতিনিধি

দুর্ভোগে ৩০ হাজার মানুষ

যশোরের শার্শার ডিহি ইউনিয়নের বেলতা খালের ওপর সেতুর অভাবে  শার্শা  ও ঝিকরগাছা উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের ৩০ হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। অথচ বেলতা খালের দুই পাশে ৩০০ ফুট দূরত্বের মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ অবকাঠামোর আওতায় নির্মিত পাকা সড়ক। শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের সাড়াতলা ও ঝিকরগাছার উপজেলার বেলতা গ্রামের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সাড়াতলা-বেলতা সড়কের বেলতা খালের ওপর সম্পূর্ণ স্থানীয় উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি এখন জরাজীর্ণ হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, সাঁকোটি ভেঙে চলাচলের অনুপোযোগী হওয়ায়  প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কৃষিতে পড়েছে বিরুপ প্রভাব। নারী শিশু বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীরা চলছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কৃষিপণ্য মাঠ থেকে আনা ও বাজারজাতকরণে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। কয়েক বছর আগে গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে সাঁকোটি তৈরি করে। ওই সাঁকো ব্যবহার করে পন্ডিতপুর, শাড়াতলা, গোকার্ণ, দুর্গাপুর, চন্দ্রপুর, খলিসাখালী, পাকশিয়া, কাশিপুর, বাউন্ডারি এমন আশপাশের ১৫টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে আসছিলেন। কয়েক মাস আগে এটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাঁকোর অভাবে ২/৩ মাইল ঘুরে মাঠের ফসল বাড়িতে নিয়ে আসতে হয় ফলে অর্থ ও সময় দুটোই নষ্ট হচ্ছে। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার পর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের কলেজে যেতে হয় বলে জানান শিক্ষার্থী সাব্বির রহমান।

ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল বলেন, এর সব কাগজপত্র উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে নিয়ে ঢাকা এলজিইডি দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রজেক্ট ডিরেক্টর দ্রুততম সময়ে কাজ শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী এমএম মামুন হাসান বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ বেলতা খালে সেতু নির্মাণে ২০২০ সাল থেকেই প্রস্তাবনা পাঠানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিনবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। খালের ওপর ১০০মিটার ব্রিজ নির্মাণ দ্রুত বাস্তবায়নের আশা করেন এই প্রকৌশলী।

সর্বশেষ খবর