বিশ্বনাথে ঋণ দেওয়ার কথা বলে চার দরিদ্র নারীর প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) বিশ্বনাথ শাখার বিরুদ্ধে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারীরা। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, রিক বিশ্বনাথ শাখার ফিল্ড অর্গানাইজার অমিত কুমার গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ঋণ দিতে কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে আমাদের এলাকায় যান। এলাকার ঋণ গ্রহীতাদের সবাইকে একত্র করে তিনি বলেন, ঋণ গ্রহণ করতে হলে সবাইকে সঞ্চয়ের টাকা আগে তার কাছে জমা দিতে হবে। ২৭ আগস্ট ৫০ হাজার টাকা ঋণের জন্য নাছিমা বেগম ৫ হাজার, ১ লাখ টাকা ঋণের জন্য আফিয়া বেগম ১০ হাজার, ২ লাখ টাকা ঋণ পেতে ইয়ারুন নেছা ২০ হাজার এবং ১ লাখ টাকার জন্য জোসনা বেগম ১০ হাজার টাকা অমিতের কাছে সঞ্চয় হিসেবে জমা দেন। ৪ সেপ্টেম্বর আমাদের ঋণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ঋণ না পেয়ে ৭ সেপ্টেম্বর রিক’র বিশ্বনাথ শাখা অফিসে গেলে আমাদের বলে, অমিত তাদের অফিস থেকে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। আরও জানানো হয়, তারা এই ঋণ কিংবা অমিত কুমারের বিষয়ে কিছু জানেন না এবং এর দায় তারা নেবেন না। অমিত কুমার সাংবাদিকদের জানান, ‘তিনি ওই টাকা গত ২৮ আগস্ট রিক’র বিশ্বনাথ শাখায় জমা দিয়ে নিজের ছাড়পত্র নিয়ে ওখান থেকে চলে যান।’ অমিত কুমারের দাবি সঠিক নয় জানিয়ে রিক’র বিশ্বনাথ শাখার ম্যানেজার কাজী শামীম মুঠোফোনে বলেন, গত ৩০ আগস্ট আমাদের এখান থেকে চাকরি ছেড়ে গেছেন অমিত কুমার। এর আগে তিনি যে ওই এলাকায় গেছেন এবং নারীদের কাছ থেকে সঞ্চয়ের নামে টাকা জমা নিয়েছেন, সেটা আমার জানা ছিল না। একজন নারীর স্বামী আমাদের অফিসে এলে বিষয়টি জানতে পারি। ওভাবে টাকা জমা নেওয়ার নিয়ম আমাদের নেই। বিশ্বনাথের ইউএনও নুসরাত জাহান বলেন, ‘ওই নারীদের অভিযোগপত্র এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হচ্ছে।
