বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাদের ভরসা বাঁশের সাঁকো

জমির বেগ, ফেনী

পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাদের ভরসা বাঁশের সাঁকো

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার জামমুড়া সড়কের ছিলোনিয়া নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি এলাকার পাঁচ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে পাঁচ গ্রামের মানুষ। সরেজমিন দেখা যায় ফুলগাজী উপজেলার জামমুড়া, উত্তর আনন্দপুর, ফকিরখিল, কমুয়া ও কামাল্লা গ্রামের জনসাধারণকে একটি কালভার্টের অভাবে এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। সাঁকোটি উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের জামমুড়া গ্রামের ছিলোনিয়া নদীর ওপর। এলাকাবাসী জানান, ঝুঁকি নিয়ে তারা ও তাদের ছেলে-মেয়েরা সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করছেন। বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করলে তাদের দূর দূরান্ত দিয়ে ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। তখন ১০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা দিতে হয়।  স্থানীয় বাসিন্দা সমির জানান, এভাবে সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে তাদের অনেক কষ্ট হয়। যদি এই এলাকায় ছোট একটা ব্রিজ থাকত তাহলে জনসাধারণের উপকার হতো। তারা আর্থিক লোকসান থেকে বাঁচত। কৃষকরা নদীর এপাড় ওপাড়ে ধান চাষ করে, মৌসুমে এই সোনালি ফসলগুলো ঘরে তুলতে অনেক দূর দিয়ে গাড়ি যোগে ফসল বাড়ি আনতে হয় যাতে প্রচুর টাকা খরচ হয়ে যায়। এই এলাকার সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবি একটি ব্রিজ যদি নির্মাণ করে দেওয়া হয়, তাহলে পাঁচ গ্রামের হাজার মানুষের সময় বাঁচবে ও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। স্থানীয় সবুজ নামে এক ব্যক্তি জানান, এই বাঁশের সাঁকো আমাদের ছিলোনিয়া নদী পারাপারের একটি মাত্র মাধ্যম, গ্রীষ্ম-বর্ষা সব সময় ছোট বড় সবাই অনেক ঝুঁকি নিয়ে এই নদী পার হতে হয়। একটি ব্রিজের জন্য হাজার হাজার মানুষের কষ্টের সীমা নেই। অনেক সময় দেখা যায় ছোটরা এই নদী পার হওয়ার সময় সাঁকো থেকে নদীতে পড়ে যাওয়ার ভয় ও আতংকে থাকে। শামসুল হক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছেন এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একটি মাত্র মাধ্যম এই বাঁশের সাঁকোটি। প্রায় ৫০ বছর যাবত এই এলাকার হাজার হাজার ছোট-বড় সবাই এই বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে আসছে। প্রতি বছর এই পাঁচ গ্রামের মানুষের কাছে থেকে টাকা তুলে ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ করে এ সাঁকো মেরামত করা হয়। সরকার অনেক উন্নয়ন করতেছে যদি এ স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেন তাহলে আমরা উপকৃত হব। মুন্সীরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, ছিলোনিয়া নদীর ওপর ব্রিজের বরাদ্দের জন্য জি এম পি-৩ এর আওতায় প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। তবে কবে থেকে কাজ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা সৈয়দ আসিফ মাহমুদ জানান, জামমুড়া এলাকায় নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। উপজেলায় বর্তমানে যে ব্রিজগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বেশি সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণ কাজ করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর