শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল

৯ বছরেও চালু হয়নি নতুন ভবন, মিলছে না সেবা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

৯ বছরেও চালু হয়নি নতুন ভবন, মিলছে না সেবা

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবন উদ্বোধনের অপেক্ষায় পার হয়ে গেছে ৯ বছর। ১৫০ শয্যার নতুন ভবন চালু হলে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হবে জেলার প্রধান এই হাসপাতাল। গত ১৪ বছর আগে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০-এ উন্নীত হয়। জনবল রয়েছে ৫০ শয্যারই। নতুন ভবনের জনবল না থাকায় কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার সাধারণ মানুষ। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ১০০ শয্যার মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবল নিয়ে কোনোভাবে সেবা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। আছেন মাত্র ২০-২২ জন চিকিৎসক। শূন্য রয়েছে নাক-কান-গলা (ইএনটি), অর্থপেডিক্স, কার্ডিওলোজিসহ বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসকের পদ। জেলার সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালে প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরি ও ছিনতাই। এসব রোধে নেই নিরাপত্তারক্ষী। ভর্তি রোগী ও নির্মাণাধীন ভবনের যন্ত্রাংশের নিরাপত্তা নিয়েও আছে সংশয়। সংশিষ্ট সূত্র জানায়, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্পূর্ণ এই ভবনটি বিগত ৯ বছরেও নানা জটিলতায় সেবা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। সূত্র জানায়, লিথুরিয়াস নামে একটি গ্যাস যা তুরস্ক থেকে আমদানি করতে হয়। এ গ্যাসের কাজের জন্যই ভবনটির উদ্বোধন বার বার পেছানো হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের একাধিক রোগী ও স্বজন বলেন, শয্যা না পেয়ে প্রায়ই রোগীদের মেঝেতে বিছানা করে থাকতে হয়। এছাড়া  প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারেন না চিকিৎসকরা। চিকিৎসক সংকটের কারণে চেম্বারে রোগী রেখেই ভিজিটে চলে যেতে হয় চিকিৎসককে। জনবল না থাকায় বেশিরভাগ রোগী পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকায় নেওয়ার পথেই মারা যায় অনেক মুমূর্ষু রোগী। নতুন ভবন চালু করে জনবল বাড়িয়ে চিকিৎসা সেবার মান বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানান তারা। মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম বলেন, পুরাতন ভবনে ১০০ শয্যা হলেও কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে ৫০ শয্যার জনবল নিয়েই। নাক, কান, গলা, মেডিসিন ও চোখ, নেফ্র্রলজি, ইউরোলজিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে আমাদের কনসালটেন্ট নেই অনেকদিন ধরে। গ্যাসের কাজসহ আইসিইউ ও সিসিইউর কাজ শেষ পার্যায়ে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নতুন ভবনের সব কাজ শেষ করে লোকবল নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হলে মিলবে কাক্সিক্ষত সেবা।

 

সর্বশেষ খবর