বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

মোবাইল চুরির অপবাদে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

মোবাইল চুরির অপবাদে শিক্ষার্থীকে নির্যাতন

মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। আর এ অভিযোগের তীর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালীপুর গ্রামে। ঘটনায় আহত মো. কাইউমের বাবা দেলোয়ার হোসেন মাঝি বাদী হয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা করলে মামলাটি এস আই কৃষ্ণকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গতকাল সকাল ১১টায় ভুক্তভোগীর বাবা দেলোয়ার পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের কালীপুর ছালেহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খাদিজা বেগমের মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ অভিযোগে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কে কে আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র কাইউমকে মোবাইল চুরির অপবাদে ১৫ অক্টোবর শনিবার খাদিজা, তার স্বামী বাদল মিয়া ও তাদের সহযোগী বাবু মিয়া ছালেহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরতান ভবনের একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে লাঠি দিয়ে পেটায়। এক পর্যায় বমি করলে তাৎক্ষণিক কাঁঠালতলী পরিষদ বাজারে জননী ফার্মেসিতে গিয়ে দুটি বমির ও একটি ব্যথার ট্যাবলেট খাইয়ে মেঝভাই আবদুল আলিমকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে অবস্থা গুরুতর দেখে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চার দিন চিকিৎসা নেয়। এ বিষয় অভিযুক্ত শিক্ষক খাদিজা বেগমের বক্তব্য নিতে চাইলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। চৌকিদার আ. সালাম বলেন, চুরির অভিযোগে ওই শিক্ষকের ভাইয়ের ছেলে ও কাইউমকে নিয়ে স্কুলের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছি। পরে শুনেছি মারধর করা হয়েছে এবং চুরি যাওয়া ফোন তার ভাইয়ের ছেলের কাছে পাওয়া যায়। তবে আমি চোখে দেখিনি।  এস আই কৃষ্ণ  বলেন, মামলার তদন্তের আদেশ এখনো পাইনি, পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

 

সর্বশেষ খবর