শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

কাজ নেই, জেলে পল্লীতে হতাশা

জুন্নু রায়হান, ভোলা

কাজ নেই, জেলে পল্লীতে হতাশা

নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। খালে নোঙর করে রাখা হয়েছে ফিশিং ট্রলার -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। কোথাও কোনো জেলে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছে না। মাছ ধরতে না পারায় বেকার হয়ে পড়েছেন ভোলার ২ লাখ জেলে। বন্ধ হয়ে গেছে তাদের আয়ের একমাত্র পথ। এখনো অধিকাংশ জেলে পাননি সরকারি প্রণোদনার চাল। অনেক জেলে পরিবারের সদস্যরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন ও নিশ্চিত করতে গত ৬ অক্টোবর থেকে দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে ভোলার ইলিশা ও মেঘনা নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় চলছে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন মাছঘাট ঘুরে দেখা যায়, বিশাল জলরাশি এখন জেলে নৌকা শূন্য। নৌকা সব ঘাটে ঘাটে বাঁধা। মাছের আড়তগুলোতে সুনসান নীরবতা। অধিকাংশ জেলে অলস সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ জাল কিংবা নৌকা মেরামত করা নিয়ে ব্যস্ত। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নদীতে মাছ ধরতে না পারায় আয়ের পথ বন্ধ। জেলে পল্লীগুলোতে চলছে হাহাকার। ধারদেনা করে চলছে সংসার। সরকারিভাবে  বরাদ্দ চাল না পাওয়ায় জেলেদের মধ্যে হতাশা বেড়েছে। জেলে কার্ড এবং জেলেদের জন্য বরাদ্দ চাল বিতরণেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। প্রকৃত জেলেদের না দিয়ে অন্য পেশার লোকজনকে দেওয়া হচ্ছে বরাদ্দকৃত চাল।  এমন অভিযোগও রয়েছে। জেলেরা জানান, এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় তারা দুশ্চিন্তায় আছেন। তাদের দাবি, যখন নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে তখন ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ করতে হবে। ভোলায় ২ লাখ জেলে থাকলেও জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী নিবন্ধনকৃত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার। এর মধ্যে ১ লাখ ৩২ হাজার জেলের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যক জেলে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানান, শিগগিরই সব নিবন্ধিত জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাবেন।

সর্বশেষ খবর