অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাখ লাখ টাকার সরকারি পিপিই। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি মালামাল, বিশেষ করে পিপিইগুলো হাসপাতালের বারান্দায় অপরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। এখানে এসবগুলো দেখার কেউ নেই। পিপিইর পুরো মানে হলো পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম। করোনা মহামারির সময় চিকিৎসাসেবায় পিপিইর অনেক গুরুত্ব¡ ছিল যা এখনো রয়েছে। অথচ এসব গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল সরঞ্জাম অযত্ন, অবহেলা, অনাদরে ফেলে রাখা হয়েছে। জানা যায়, ইমারজেন্সি রুমের সামনের বারান্দার গ্রিল ঘেঁষে বেশ কিছু কার্টন রাখা হয়েছে। এসব কার্টনের মধ্যে অনেকগুলো আবার ছেঁড়া অবস্থায় এবং বেশ কিছু পিপিই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয় সাধারণ যে কোনো মানুষদেরও সুযোগ রয়েছে এখন থেকে পিপিই নিয়ে যাওয়ার। আর এভাবেই নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সব পিপিই এবং মালামাল। কালীগঞ্জ হাসপাতালে স্টোর কিপারের দায়িত্বে থাকা মাহবুবুর রহমান জানান, প্রতিটি কার্টনে ৫০ পিস পিপিই রয়েছে। এগুলো উপজেলা ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য বরাদ্দ। কমিউনিটি ক্লিনিকের পক্ষে পিপিইগুলো সংগ্রহ না করায় এখানে রাখা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, মালামাল রাখার স্থান সংকটের কারণেই সাময়িকভাবে পিপিইগুলো বারান্দায় রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে স্টোরের জন্য যে পরিমাণ জায়গা আমাদের প্রয়োজন তা নেই। সে কারণে যে কোনো মালামাল রাখার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। হাসপাতালে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নানা অভিযোগ ও সংকটের কথা বললেও সরকারি মালামাল সংরক্ষণে তাদের যথাযথ গুরুত্বের অভাব দৃশ্যমান হয়েছে।