মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

গাংনী সড়ক এখন ২৫ গ্রামের দুঃখ

মেহেরপুর প্রতিনিধি

গাংনী সড়ক এখন ২৫ গ্রামের দুঃখ

বড় বড় গর্ত আর কার্পেটিং উঠে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে কাথুলি-গাংনী আঞ্চলিক সড়কটি। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটু পানি জমে থাকে। এক যুগেও সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে রাস্তাটি এখন ২০-২৫ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষের দুঃখের কারণ।  মেহেরপুর সদর ও গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী উজুলপুর, কুলবাড়িয়া, চাঁদপুর শিবপুর, সহোগলপুর, গাঁড়াবাড়িয়া, কাথুলিসহ আশপাশের প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষ জেলা শহরে আসে এ সড়ক দিয়ে। এ ছাড়া এলাকার সবজিসহ অন্যান্য ফসল জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় এ পথেই।

সরেজমিন দেখা গেছে, মেহেরপুর শহরতলির কায়েম কাটার মোড় থেকে গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাথুলি মোড় পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তাটি ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা। কোনো কোনো স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। সে কারণে যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কুলবাড়িয়া ও গাঁড়াবাড়িয়া বাজারে জমেছে হাঁটু পানি। পণ্যবাহী ট্রাক গেলে আশপাশের দোকানের ভিতরে নোংরা পানির ছিটা পড়ে। গাঁড়াবাড়িয়া বাজারের দোকান মালিক মতিউর রহমান বলেন, গাঁড়াবাড়িয়া বাজারের কাছে একটি বড় গর্ত হয়েছে। সব সময় পানি জমে থাকে। দ্রুত গতির মাইক্রোবাসসহ ট্রাকের কারণে জমে থাকা নোংরা পানি ছিটকে দোকানে প্রবেশ করে। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।

গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী আরজান শেখ ও মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন তাদের ট্রাকে সবজিবোঝাই করে দেশের নানা প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়। সড়কটি খারাপ হওয়ায় ট্রাকচালকরা এ সড়কে আসতে চান না। অনেকে আবার ভাড়াও বেশি চান। মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব-ডিভিশনাল প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছে। তবে গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্ম সাহিদুজ্জামান সড়কটি নতুন করে তৈরির জন্য সড়ক বিভাগে আবেদন করেছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) মুঞ্জুরুল করিম বলেন, সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে রাস্তাটির সংস্কার কাজ করা হবে।

সর্বশেষ খবর