চট্টগ্রামে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় শিশু মারজানা হক বর্ষাকে। এরপর প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে লাশ ফেলা হয় নালায়। বৃহস্পতিবার রাতে বর্ষা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লক্ষণ দাশ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লক্ষণ দাশ শিশু বর্ষাকে হত্যার কথা শিকার করেছে বলে জানান সিএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবীর। তিনি বলেন, লক্ষণ দাশ একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। বিভিন্ন সময় বর্ষাকে দোকান থেকে চিপস, চকলেট দিতেন লক্ষণ। ঘটনার দিন বিকালে ১০০ টাকা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বর্ষাকে দোকানের গোডাউনে নিয়ে যান তিনি। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন লক্ষণ। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। শিশুটির মরদেহ বস্তায় ভরে নালায় ফেলে দেন। তবে এরপর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকেন লক্ষণ। বৃহস্পতিবার লাশ উদ্ধারের পর সিসিটিভির ফুটেজ দেখে লক্ষণকে শনাক্ত করে পুলিশ। সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু বর্ষা। পরদিন তার বোন সালেহা আক্তার রুবি থানায় নিখোঁজ জিডি করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে সিকদার হোটেলের পেছনের নালায় বর্ষার বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়।
