রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

নদী পাড়ের মাটি কাটায় ভাঙন

নওগাঁ প্রতিনিধি

নদী পাড়ের মাটি কাটায় ভাঙন

আত্রাই নদের তীরে ড্রেজার দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি

নওগাঁর মান্দায় ইজারা নেওয়া আত্রাই নদ থেকে বালু উত্তোলন না করে অবৈধভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন এলাকার মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। ইজারা নীতিমালা লঙ্ঘন করে মাটি কাটায় উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকায় নদের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকিতে রয়েছে শশ্মানঘাট, খেয়াঘাট, বাজার রক্ষাবাঁধ, নুরুল্লাবাদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজ, বসতবাড়ি, মাদ্রাসা, ঈদগাঁহ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ফসলি জমি। ফকিন্নি নদীর ওপর নির্মিত সেতুটিও রয়েছে হুমকির মুখে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনো নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা করছেন না ইজারাদার। অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন নুরুল্লাবাদ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলে রাব্বী তারেক। তিনি বলেন, দরপত্রের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আত্রাই নদের ভাটি অংশের বালুমহাল ইজারা নেন নকিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রহমতুল্যা মোল্লা। ইজারা নেওয়ার পর নদ থেকে বালু উত্তোলন না করে খননযন্ত্র দিয়ে পাড় সংলগ্ন ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে আশপাশের জমি, বাগান, ফকিন্নি নদীর সেতুসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পড়েছে ভাঙনের কবলে। তিনি অভিযোগ করেন, নিষেধ করার পরও গায়ের জোরে মাটি কেটে নিচ্ছেন ইজারাদার। জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে না। ভূমিমালিক আল মামুন বলেন, অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়ায় এরই মধ্যে আমার বেশকিছু ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে পুরো জমিই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। ইজারাদার রহমতুল্যা মোল্লা বলেন, দরপত্রের মাধ্যমে আত্রাই নদের ভাটি অংশের বালুমহাল ইজারা নেওয়া হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সম্পত্তি দখল করে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ সঠিক নয়। মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর