রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

চিকিৎসক নেই, সেবা নেই

আবদুল বারী, নীলফামারী

চিকিৎসক নেই, সেবা নেই

বেহালদশা নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের। জনবল সংকট, চরম অব্যবস্থাপনা ও নোংরা পরিবেশে চলছে এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। প্রতিটি ওয়ার্ডে রোগী গাদাগাদি করে আছেন। শয্যার অভাবে অনেককে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। রোগীর পাশাপাশি কুকুরও অবস্থান করছে হাসপাতালের ভিতরে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নতি হলেও স্বল্প জনবলের কারণে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এদিকে চিকিৎসক সংকটের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা সেবা নিতে এসে প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন নানা বিড়ম্বনার। অনেকে হাসপাতালে এসে চিকিৎসক না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলছেন, নতুন ভবনে কয়েকটি ওয়ার্ডে বেড শিফট করলেই এ সমস্যার সমাধান হবে। সূত্র জানায়, ১০০ থেকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত হলেও কার্যক্রম চলছে ১০০ শয্যারই জনবল নিয়েই। আট তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ ছয়তলা পর্যন্ত সম্পন্ন হলেও সেখানে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। এতে চিকিৎসক সংকটের কারণে সেবা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন বলেন, ডাক্তারে অভাবে অনেক রোগী ফিরে যাচ্ছেন। নিদিষ্ট কিছু ওষুধ ছাড়া অধিকাংশ ওষুধ বাহির থেকে কিনতে হয় রোগীদের। সিনিয়র, জুনিয়র কলসালটেন্ট ও চিকিৎসকের অভাবে ৬ বছর ধরে তালাবদ্ধ কার্ডিওলজি (হৃদরোগ) ওয়ার্ড। হাসপাতালটিতে ৫৮ জন ডাক্তার থাকার কথা কিন্তু আছেন মাত্র ৪০ জন। সিনিয়র কলসালটেন্ট ১০ জনের জায়গায় আছেন তিনজন। জুনিয়র কলসালটেন্ট ১৩ জনের মধ্যে আছেন পাঁচজন। নার্স ১৫০ জনের মধ্যে আছেন ১৪০ জন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার গোলাম রসুল রাখি বলেন, জনবল সংকটের পরেও আমরা প্রতিদিন আউটডোরে হাজারেও বেশি এবং ইনডোরে ৩৫০ জন রোগীর চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু-আল-হাজ্জাজ বলেন, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর