শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

১০ বছর ধরে অকেজো আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন

নাটোর প্রতিনিধি

১০ বছর ধরে অকেজো আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন

প্রায় ১০ বছর ধরে নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। বেসরকারি ডায়াগনস্টিক বা ক্লিনিক থেকে বেশি টাকা খরচ করে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হচ্ছে রোগীদের। এতে ওষুধ, পরীক্ষা-নীরিক্ষাসহ চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। এই খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে জনবল সংকটে ব্যবহার করা হয় না আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন। সফটওয়্যারজনিত সমস্যায় দিনে দিনে অকেজো হয়ে পড়ে আছে মেশিনটি। পরে বিভিন্ন সময় ইঞ্জিনিয়ার ডেকেও সচল করা যায়নি। জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী চিকিৎসা সেবা নেন। সে হিসাবে বছরে অন্তত ১ লাখ ২০ হাজার রোগী চিকিৎসা নেন এখানে। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ জনকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে দেন চিকিৎসকেরা। ১০ বছর ধরে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন বিকল। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষা করাতে পারেননি ৬০ হাজার রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আল্ট্রা করতে সরকারি ফি ২০০ টাকা। একই পরীক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে খরচ হয় ৫০০-৭০০।  গত ১০ বছরে ৬০ হাজারের বেশি রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসব পরীক্ষা করালে সরকার রাজস্ব পেত অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসব পরীক্ষা করাতে রোগীদের খরচ হয়েছে তার দুই-তিন গুণ টাকা। লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুরুজ্জামান শামীম বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন সফটওয়্যারজনিত সমস্যার কারণে অকেজো হয়ে আছে। এতে ভুল রিপোর্ট দেয়। টেকনিশিয়ান এনে দেখানো হয়েছে। তারাও মেরামত করতে পারেনি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. রোজি আরা বেগম বলেন, লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন সচল করতে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই সমস্যা সমাধান হবে। জনবল সংকটের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্ট্রাসনোর জন্য আপতত কোনো চিকিৎসক নেই। আমাদের চিকিৎসকদের মধ্যে যারা দক্ষ তাদের দিয়েই এ পরীক্ষা করানো হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর