বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চোলাই মদে ভাসছে সৈয়দপুর

সৈয়দপুর প্রতিনিধি

চোলাই মদে ভাসছে সৈয়দপুর

উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর ভাসছে চোলাই মদে (স্থানীয়ভাবে তৈরি)। দেশীয় এ মাদক বিক্রি রোধে সংশ্লিষ্টদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীর হার ক্রমেই বাড়ছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর নীলফামারী পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে সৈয়দপুরে ওপেন হাউস ডেতে মাদক বিক্রির বিস্তার নিয়ে একাধিক জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান অক্টোবরের মধ্যে মাদক নির্মূলের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন। সেই অঙ্গীকারের ছিটেফোঁটাও নজরে আসছে না বলে দাবি একাধিক ভুক্তভোগীর। সৈয়দপুর শহরের ৫০টি পয়েন্টে চোলাই মদ বেচাকেনার খবর পাওয়া গেছে। বহনকারী হিসেবে কাজ করছে শতাধিক কিশোর। কমপক্ষে ১২টি পয়েন্ট থেকে এ মাদক সরবরাহ করা হয় সেবীদের হাতে। জানা যায়, কিছু লোক স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে চোলাই মদ তৈরি ও পাইকারি দরে বিক্রি করে। তাদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা নিয়ে শহরের শতাধিক পয়েন্টে মাদকসেবীদের হাতে পৌঁছে দেন। অন্যান্য মাদক পণ্যের চেয়ে দামে সস্তা হওয়ায় সেবীরা চোলাই মদে ঝুঁকে পড়েছে। এ মাদক ক্রেতার বেশির ভাগই দিনমজুর শ্রেণির। চোলাই মদ সেবনে ৫০ থেকে ১০০ টাকার বেশি ব্যয় করতে হয় না বলে জানিয়েছে একাধিক মাদকসেবী। সূত্র জানায়, অটোচালক, ভ্যানচালক, হোটেল শ্রমিক, লোড-আনলোড শ্রমিক ও পরিবহন শ্রমিকদের একাংশ চোলাই মদ সেবনে অভ্যস্ত। এ ছাড়া এ মাদক কেনাবেচায় নেই তেমন ঝক্কি ঝামেলা। বহন করাও খুব সহজ। পানির বোতলে ভরে সহজেই হাতবদল করা যায়। প্রশাসনের লোকজন এদিকে তেমন নজর দেন না। ফলে মাদক বিক্রেতা ও সেবীরা অবাধে অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ১৪-১৬ বছরের কিশোররাও দ্রুত এই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন বাড়ছে মাদকসেবী। সাবেক পৌর কাউন্সিলর আকতার হোসেন ফেকু বলেন, শুরুতে চোলাই মদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে এর ভয়াবহ বিস্তার ঘটবে। এতে সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধিসহ শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। নীলফামারী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) পলাশ চন্দ্র বলেন, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর