শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সংকটে পোলট্রি-ডেইরি খামার

জমির বেগ, ফেনী

সংকটে পোলট্রি-ডেইরি খামার

দফায় দফায় পোলট্র্রি, পশুখাদ্য ও মৎস্য খাদ্যের দাম বাড়ায় ফেনীতে বন্ধ হয়েছে তিন শতাধিক পোলট্র্রি খামার। বন্ধের পথে রয়েছে আরও অনেক খামার। ইতোমধ্যে বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি গরুর খামারও। মাছের ঘেরের মালিকরাও আছেন বিপাকে। জানা যায়, গত দুই বছরে এসব শিল্পের খাদ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। প্রতি মাসে খাদ্যের দাম বাড়ছে কমপক্ষে একবার করে। ফেনী জেলা পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আলম বলেন, ফেনীতে তিন শতাধিক পোলট্রি খামার ইতোমধ্যে বন্ধ হয়েছে।  অনেকেই পুঁজি হারিয়ে আবার নতুন করে পুঁজি সংগ্রহের চেষ্টায় আছেন। তিনি বলেন, গত এক বছরে ৫০ কেজি ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের দাম ২২০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫০০ টাকা, লেয়ার মুগরির খাদ্য ১৯০০ টাকা থেকে ৩২৫০ টাকা ও সোনালি মুরগির খাদ্য ২১০০ টাকা থেকে ৩৪০০ টাকা হয়েছে। আজকের বাজারে পাইকারি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা, সোনালি মুরগি ১৯৫ টাকা ও ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা ৩০ পয়সায়। যা উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম। তিনি বলেন, ভুট্টার দাম গত এক বছরে ৩২ টাকা থেকে ৪২ টাকা ও সয়ামিনের দাম ৩৫-৩৬ টাকা থেকে ৬০-৬৫ টাকা হয়েছে। সোনাগাজীর ডাকবাংলার পোলট্রি ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বলেন, ব্রয়লার মুরগির মাংস কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ ১৭০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। সোনালি মুরগির মাংস কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ ২৫০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। একটি ডিমের উৎপাদন খরচ প্রায় সাড়ে ৯ টাকা। বুধবার ডিম পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৮ টাকা ১০ পয়সা। খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, ওষুধের দাম বৃদ্ধি ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে টিকে থাকা কিছুতেই সম্ভব নয়। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিশেষ করে তিনটি কোম্পানি নিজেদের চাহিদামতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। সয়ামিনের সংকট অনেকটা কৃত্রিম। দেশের সয়ামিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন বীজ উৎপাদন করে শুল্কমুক্তভাবে।

প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন তেল উৎপাদনের পাশাপাশি উপজাত হিসেবে পাওয়া সয়ামিন স্থানীয় বাজারে আগে বিক্রি করত। আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এ সুযোগে শূন্য শুল্ক সুবিধায় আনা সয়াবিন বীজ থেকে উৎপাদিত সয়ামিনগুলো বেশি মুনাফার লোভে তারা রপ্তানি করে দিচ্ছেন ও নিজের গোডাউন জাত করছেন। সময়মতো দাম বাড়িয়ে তা বাজারজাত করছেন। এ কাজটি তিন থেকে চারটি সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান করে থাকে। ফেনী শহরের পোলট্রি ব্যবসায়ী ইভান জানান, তিনি পোলট্রির পাশাপাশি কিছু গরু নিয়ে খামার শুরু করেছিলেন। এখন তার খামার বন্ধের পথে। রেজাউল নামে এক গরুর খামারির খামারে শতাধিক গরু ছিল। অনেক লোকসান দেওয়ার পর তার খামার বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর