শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাড়তি টাকা দিলেই পাসপোর্ট আবেদন হয়ে যায় ‘নিখুঁত’

মেহেরপুর প্রতিনিধি

বাড়তি টাকা দিলেই পাসপোর্ট আবেদন হয়ে যায় ‘নিখুঁত’

হয়রানি আর দুর্ভোগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে মেহেরপুর পাসপোর্ট অফিস। ছোট ভুলের অজুহাতে হয়রানির শেষ নেই গ্রাহকদের। কিছু কর্মকর্তার চাহিদা পূরণ না হলে আবেদনের দুই বছরেও পাসপোর্ট পাওয়া যায় না। অতিরিক্ত টাকা দিলেই সপ্তাহের মধ্যে মিলে পাসপোর্ট। একটা পাসপোর্ট করতে ভুলের মাত্রানুযায়ী সরকারি ফিসের বাইরে ১০-৭০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়। অফিসের নিম্নপর্যায়ের কর্মচারী ও কিছু কম্পিউটার দোকানের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এ ঘুষ লেনদেন। দুদক কয়েকবার এখানে অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি অনৈতিক কার্যক্রম। একার-ওকার, হ্রস্ব-ই-দীর্ঘ-ঈর মতো ছোট ভুল নিয়ে মাসের পর মাস পাসপোর্ট অফিস ঘুরে ক্লান্ত অনেকে। তাদের অভিযোগ দালালদের ৬০-৭০ হাজার টাকা দিলেই ভুল সংশোধন হয়ে যাবে। কিন্তু এত টাকা দেব কোত্থেকে। অফিস সূত্র জানায়, প্রতিদিন ২০০-৩০০ নতুন পাসপোর্টের আবেদন ফাইল জমা হয় এখানে। প্রায় হাজার খানেক আবেদন অফিসে জমা আছে। আর ২ হাজার পাসপোর্ট অফিসে স্তূপ হয়ে আছে আবেদনকারীরা না নেওয়ায়। ভুক্তভোগীরা বলছেন, জরুরি পাসপোর্ট দরকার ছিল। কিন্তু সঠিক সময় পাননি। তাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ায় ও অতিরিক্ত অর্থ চাওয়ায় তারা পাসর্পোট নিচ্ছেন না। সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ৯টায় এসে দুপুর ২টায়ও ফিঙ্গার ও ছবি তোলার কাজ শেষ করতে পারেননি অনেকে। অফিস সহকারী শাহজাহান আলীকে খুশি করার পর কর্মকর্তার রুমে গিয়ে কাগজ জমা দিতে হয়।  অফিসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্য ফারুক হোসেন জানান- ছোট ছোট ভুলের কারণে এসব মানুষ হয়রানির শিকার। সবকিছু সঠিক থাকলেও আবেদন সঠিক আছে কি না যাচাইয়ে ১ হাজার, ডেলিভারির জন্য ১ হাজার এবং ফিঙ্গার ও ছবি তুলতে ২ হাজার টাকা লাগে। মেহেরপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ডিজির অনুমতি ছাড়া মিডিয়ার সামনে ঘুষবাণিজ্য ও হয়রানি সম্পর্কে কথা বলতে পারবেন না বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর