রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নড়বড়ে ভাসমান সেতুতে পারাপার

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

নড়বড়ে ভাসমান সেতুতে পারাপার

কলাপাড়ার পাখিমারা খালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতু

কলাপাড়ায় ভাসমান সেই কাঠের সেতুটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে অনেকাংশের পাটাতন। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্লাস্টিকের ড্রামগুলো। গ্রামবাসীর অর্থায়নে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পাখিমারা খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল সেতুটি। বর্তমানে এ সেতুতে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। তার পরও কৃষিপল্লী খ্যাত ওই ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ ভাসমান সেতু পরাপার হচ্ছে। এ খালের ওপর একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, খালের ওই স্থানে থাকা ১১৬ মিটার দীর্ঘ আয়রন ব্রিজটি ২০১৭ সালে ৬ আগস্ট রাতে হঠাৎ ভেঙে পড়ে। তখন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মজিদপুর, এলেমপুর, কুমিরমারাসহ আশপাশ গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহন একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। ২০২০ সালে গ্রামবাসীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাসমান এ কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। ভাসমান সেতুটি তৈরিতে ৭২টি প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর পাটাতন করতে ২৫০ ঘনফুট (কেভি) কাঠ লেগেছে। আর প্লাস্টিকের রশি লেগেছে তিন মণ। তারকাঁটা লেগেছে তিন মণ। ভাসমান সেতু সংলগ্ন কুমিরমার গ্রামে বাসিন্দা ডাক্তার শেখ মো. ফরিদ জানান, পাঁচটি গ্রামের মানুষ প্রতিদিনই এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। প্রায় তিন বছর আগে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ভাসমান সেতুটি এরই মধ্যে দু-একবার মোরমত হয়েছে। বর্তমানে সেতুটি একেবারে নড়বড়ে হয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। শিশু, বয়স্ক ও রোগীর স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। একই গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, এখানে একটি ব্রিজ খুবই জরুরি। বেশির ভাগ সবজিই কুমিরমারা গ্রামে আবাদ হয়। এসব সবজি সিংহভাগ কৃষকরা উপজেলা শহরে বিক্রির জন্য নিয়ে যান। সেতুর অভাবে মালামাল পরিবহন ব্যয়বহুল ও কষ্টকর বলে জানান তিনি। নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, এখানে একটি আয়রন ব্রিজ ছিল। তিন বছর আগে এটি ভেঙে যায়। তার জানামতে এখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেল পরিষদ থেকে প্রস্তাব মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ জানান, শিগগিরই ওই স্পটে নতুন গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর