সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ধোপাজান নদীর বালু-পাথরের টাকা সিন্ডিকেটের পকেটে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

ধোপাজান নদীর বালু-পাথরের টাকা সিন্ডিকেটের পকেটে

ধোপাজান নদী থেকে তোলা হচ্ছে বালু

সুনামগঞ্জের বালু-পাথর কোয়ারি ধোপাজান নদী থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর তোলা ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়ে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু-পাথর অবৈধভাবে পাচার হওয়ায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব তেঘরিয়া আবাসিক এলাকার তারেক রহমান এই আবেদন করেন। অবৈধভাবে বালু-পাথর তোলার সঙ্গে স্থানীয় সিন্ডিকেটর এক ডজন সদস্য জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দরখাস্তে বলা হয়, ধোপাজান চলতি নদী বালু-পাথর মহালটি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইজারা ও খাস কালেকশন স্থগিত থাকার পরও বেআইনিভাবে ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করে আসছে সিন্ডিকেট। এভাবে নদী থেকে প্রতিদিন ৩ লাখ ঘনফুট বালু ও ১ লাখ ঘনফুট  পাথার পাচার করা হচ্ছে, যার বাজার মূল্য প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকা। এদিকে তোলা বালু-পাথর প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সড়ক ও নৌপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। এসব বালু-পাথার প্রকাশ্যে সুরমা নদীতে নোঙর করা নৌযানে লোড-আনলোড হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও সিন্ডিকেটের মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানানো হয় দরখাস্তে। আবেদনের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে দেওয়া হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন বলেন, অভিযোগের কপি এখনো পাইনি। পাওয়ার পর তদন্ত করে দেখা হবে।

সর্বশেষ খবর