সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সার সংকটে বিপাকে কৃষক

হিলি প্রতিনিধি

সার সংকটে বিপাকে কৃষক

দিনাজপুরের হিলিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সরিষা ও আলুর আবাদ। আমন ধান কাটা শেষে কৃষকরা ব্যস্ত সরিষা ও আলু চাষে। অন্যান্য সার পরিমাণে কম মিললেও পটাশ  একেবারে না পাওয়ায় সরিষা ও আলু চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। সারের অভাবে রোপণ বিলম্বের কারণে ফলন কম হওয়াসহ দাম না পাওয়ার আশঙ্কা চাষিদের। হিলিতে সার নিতে আসা কৃষক আবদুর রহমান বলেন, আমন ও বোরো আবাদের মাঝের সময়টা জমি পড়ে থাকে। তাই এসব জমি ফেলে না রেখে তিন ফসল চাষাবাদের উদ্যোগ নিয়েছি। সেই সঙ্গে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে সরিষার দাম যেমন ভালো পাওয়া যাবে, তেমনি বাড়ির খাওয়ার তেলের চাহিদা পূরণে এবার ১০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষাবাদ করেছি। সেই জমিতে সার না দিতে পারায় সরিষার ফলন কমে যাবে। সার কিনতে গিয়ে ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। আজ নয় কাল দেবে এভাবে আমাদের ঘুরাচ্ছেন দোকানিরা। আর তারা যে পরিমাণ সার দিচ্ছেন তাতে ফলন ভালো হবে না। আমরা যেখানে তিন বস্তা সার দিই সেখানে এখন সার দিচ্ছেন ১০ থেকে ১৫ কেজি করে। এই সার দিয়ে তো আমাদের আবাদ করা সম্ভব নয়। অপর কৃষক জোবায়দুল ইসলাম বলেন, তিন-চার দিন ধরে কৃষি অফিসের স্লিপ নিয়ে হিলিতে ডিলারের কাছে সার কিনতে যাচ্ছি। কোনো সার পাচ্ছি না। ঘুরে ঘুরে আসতে হচ্ছে। এভাবে যাতায়াত করতে যেমন সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে, তেমনি রোপণে বিলম্ব হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে সার পাওয়া গেলেও সেখানে দাম বেশি। বস্তায় ৪০০-৫০০ টাকা করে বাড়তি দাম নিচ্ছেন এ দোকানিরা। এভাবে যদি আমরা সার না পাই তাহলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, সারের বিষয়টি মনিটরিং করছি। প্রত্যেক কৃষককে তার জমির পরচা ও কৃষি কার্ডে জমির পরিমাণ নিশ্চিত হয়ে স্লিপের মাধ্যমে সার দেওয়া হচ্ছে। এ উপজেলায় কৃষকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে যতটুকু সার প্রয়োজন, সেই পরিমাণ সার কৃষকরা পাচ্ছেন। সারের সংকট নেই। দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. নূরুজ্জামান বলেন, চাহিদার তুলনায় আলুর বাড়তি উৎপাদন হওয়ায় দাম পাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলায় কিছুটা কমিয়ে ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণ হয়েছে। এবার সরিষার আবাদ বাড়বে আমরা আশা করছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর