শিরোনাম
সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পেশা পরিবর্তন করছেন চাবি কারিগররা

নীলফামারী প্রতিনিধি

পেশা পরিবর্তন করছেন চাবি কারিগররা

বাড়ি-গাড়ি, অফিস-আদালত নিরাপদ রাখার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে তালা। এ তালা অকেজো কিংবা চাবি হারিয়ে গেলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তখন প্রয়োজন পড়ে তালা মেরামত ও চাবি তৈরির কারিগরদের। এক সময়ে নীলফামারীতে এ পেশার কারিগরদের বেশ কদর ছিল। নতুন চাবি তৈরি, অকেজো তালা ও টর্চলাইট মেরামত করে জীবন নির্বাহ করতেন নিম্নআয়ের বহু মানুষ। বর্তমানে কমেছে এ পেশার মানুষের সংখ্যা। কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহরের পুটিমারি ছাদুরারপুল গ্রামের মনোয়ার বলেন, বর্তমান প্রযুক্তির যুগে আবিষ্কার হয়েছে ডিজিটালসহ উন্নত ও দীর্ঘস্থায়ী তালা-চাবি। বেড়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। এখন পুরাতন তালা-চাবি মেরামত করতে কেউ আসেন না বললেই চলে। কারণ একটি তালা মেরামতের চেয়ে নতুন তালা কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা। তবুও অন্য কাজের ফাঁকে কিছু বাড়তি আয়ের আশায় পৈতৃক পেশা ধরে রেখেছি।

তালা মেরামত করতে আসা কামরুল বলেন, এক সময় জেলার বিভিন্ন বাজারে স্থায়ী-অস্থায়ী, ফুটপাত, রাস্তার মোড়ে অনেক চাবি কারিগর দেখা গেলেও বর্তমানে তাদের চোখে পড়ে না। কদর না থাকায় অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছেন। কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে তালা ও টর্চলাইট মেরামতকারী রশিদুল ইসলাম বলেন, তিনি প্রায় ৪৫ বছর এ পেশার সঙ্গে যুক্ত। এক সময় অকেজো টর্চলাইট, কামারি তালা মেরামত ও বাসাবাড়িতে হারিয়ে যাওয়া চাবি তৈরির কাজ করতেন তিনি। বর্তমানে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো। সড়কে বাতির আলোর ঝলকানি। এতে প্রায় টর্চলাইটের প্রচলন উঠে গেছে। এখন টর্চলাইটের স্থান মোবাইল ফোন দখল করে নিয়েছে। আগের মতো হাতে কাজ নেই। কোনো দিন ২০০ আবার কোনো দিন ২৫০ টাকা ইনকাম হয়। যা দিয়ে সংসার চলে না। তারপরও আজও এ পেশা ধরে আছি।

সর্বশেষ খবর