মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

অযত্নে ফেনীর বধ্যভূমি

জমির বেগ, ফেনী

অযত্নে ফেনীর বধ্যভূমি

ফেনীর একটি বধ্যভূমি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

আজ ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পাক হানাদার বাহিনী দিশাহারা হয়ে ফেনীর সব সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৫ ডিসেম্বর রাতে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধারা শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে কোথাও কোনো প্রতিরোধে না পড়ায় পরে জানতে পারে পাকিস্তানি বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ। পাক বাহিনীর পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ শুনেই জয় বাংলা স্লোগান ও করতালির মধ্য দিয়ে ফেনীর রাজাঝীর দিঘির পাড়ে সার্কিট হাউস ও ট্যাংক রোডের প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধা ও হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ একত্রিত হতে থাকেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫১ বছর পার হলেও আজও ফেনীর বিভিন্ন চিহ্নিত বধ্যভূমি সংরক্ষণে এগিয়ে আসেনি সরকার বা কোনো সংস্থা। ফেনীতে প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিল ফেনী সদর উপজেলা কার্যালয়। রাজাঝীর দিঘির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে কলেজ রোড ও জেল রোডের সংযোগস্থলে ১৯৭১ সালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ফেনী পৌরসভার তত্ত্বাবধানে থাকা স্মৃতিস্তম্ভটি পুরোপুরি  রক্ষণাবেক্ষণেই রয়েছে। একইভাবে ফেনী কলেজের বধ্যভূমির পাশে ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় একটি বিজয়স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। যা বর্তমানে সংরক্ষণে রয়েছে। ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবদুল মোতালেব জানান,  এই স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করে অগণিত মুক্তিকামী নারী-পুরুষকে ধরে এনে হত্যা করেছে। ফেনী কলেজের একজন অধ্যাপক ফজলুল হককেও পাকিস্তানি বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তার লাশ আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবু তাহের বলেন, ফেনীর অনেক স্থানেই মুক্তিবাহিনী ও সাধারণ জনগণকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করেছে। এসব বধ্যভূমির অনেক শনাক্ত করা হলেও কয়েকটি এখনো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। এসব বধ্যভূমি এখনো রয়েছে অযত্ন-অবহেলায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর