শেরপুরের নকলায় স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে আসার পর গাজীপুর থেকে ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। তার নাম রাসেল মিয়া (৪২)। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার বৈরাগীরচালা এলাকার মৃত মজিবুর রহমান খানের ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রি। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নিহতের নাম শাহনাজ আক্তার (৩৫)। তিনি শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের জানকীপুর গ্রামের বিশু মিয়ার মেয়ে। র‌্যাব-১ গাজীপুরের স্পেশালাইজড পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম গতকাল সকালে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে শাহনাজ ও রাসেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি বাড়ি করে সেখানে বসবাস করে আসছিলেন রাসেল। সম্প্রতি পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়সহ স্থানীয় এনজিওর কিস্তি নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। শনিবার সমিতির কিস্তির টাকা নিয়ে রাত ১২টায় আবারও ঝগড়া হয়।

পরে রাত ৩টায় শাহনাজকে মারধর করে ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে রাসেল পালিয়ে যান। ৪ ডিসেম্বর সকালে বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। তারা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে শাহনাজকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নকলা থানা পুলিশ র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সহযোগিতা চায়। র‌্যাব-১ পোড়াবাড়ী ক্যাম্প তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় অবস্থান করছেন রাসেল। পরে র‌্যাব-১ বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল স্বীকার করেন, শনিবার রাত ৩টায় আর্জেন্টিনার খেলা দেখে বাসায় ফেরেন। এ সময় কিস্তির টাকা জোগাড় করা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাকে লাথি মারেন শাহনাজ। ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেলও তার বুকে ও মুখে এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকেন। এতে শাহনাজ ঘরের মেঝেতে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান। এটা বুঝতে পেরে রাসেল বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে ভোরে গাজীপুরে চলে যান। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৪ ডিসেম্বর রাতে আসামিকে নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।