শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

অবৈধ ভাটায় কৃষি জমির মাটি ট্রাক্টরে নষ্ট গ্রামীণ সড়ক

নেয়ামত হোসেন, চাঁদপুর

অবৈধ ভাটায় কৃষি জমির মাটি ট্রাক্টরে নষ্ট গ্রামীণ সড়ক

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অবৈধভাবে পরিচালিত ইটভাটা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবায় ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হলেও সেগুলো পুনরায় চালু হয়েছে। এতে চাষাবাদ ব্যাহতের পাশাপাশি মাটিবোঝাই ট্রাক্টরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ পাকা সড়ক। কৃষি জমি রক্ষায় অবৈধ ভাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন কৃষক, সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বালিথুবা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক বছর আগে বন্ধ করে দেওয়া হাজি আবদুল ওয়াদুদ অ্যান্ড মিয়াজী ব্রিকস চালু করা হয়েছে। এ ভাটার চারপাশে রয়েছে বসতবাড়ি। ওই গ্রামের বিভিন্ন ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় আনা হচ্ছে। মাটি কাটা ও পরিবহনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ ট্রাক্টর। ট্রাক্টরগুলোর বেপরোয়া চলাচলে পাকা সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। কোনো কোনো জমির মাটি কাটার কারণে পাশের জমি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কৃষক আক্কাছ ও মনির বেপারী  এবং নুরু গাজী জানান, ইটভাটার কারণে আমাদের পাকা সড়কটি ভেঙে গেছে। গত বছর এ সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। এখন আবার ট্রাক্টর চলায় ধস শুরু হয়েছে। এ ভাটার কারণে আমাদের ফসল উৎপাদন কয়েকগুণ কমেছে। ট্রাক্টর চলাচলের ফলে আমাদের সন্তানরা সড়ক দিয়ে স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছে না। মেসার্স মা-রহমত ব্রিকসের মালিক আলম তপদার জানান, আগে যারা ভাটা চালাতেন, তাদের কাছ থেকে আমি ভাড়া নিয়েছি। তিনি বলেন, আমার সব কাগজপত্র আছে। বালিথুবা ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ জানান, আমি মালিককে ভাটা চালু না করার জন্য বহুবার অনুরোধ করেছি। ইটভাটার কারণে এলাকার কৃষি জমি ও সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছি। চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা আয়শা আক্তার জানান, ফসলি জমিতে ইটভাটা দেওয়া হলে ওই জমিসহ আশাপাশের জমির ক্ষতি হয়। ভাটার কাছাকাছি ফলের গাছ থাকলে সেগুলোর ফলন কমে যায়। চাঁদপুর পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক হান্নান জানান, জেলায় ৯৩টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৫৩টি বৈধ। গত বছর অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার পর এবার ১৫টি বন্ধ রয়েছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আবার অভিযান শুরু হয়েছে। হাজি আবদুল ওয়াদুদ অ্যান্ড মিয়াজী ব্রিকস অনেক আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের ছাড়পত্র ও অনুমোদন ছাড়াই মেসার্স মা-রহমত ব্রিকসটি চালু করেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অনেকে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন।

 

সর্বশেষ খবর