শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শীত-কুয়াশায় নষ্ট বীজতলা বোরো আবাদ ব্যাহতের শঙ্কা

লালমনিরহাট ও হিলি প্রতিনিধি

শীত-কুয়াশায় নষ্ট বীজতলা বোরো আবাদ ব্যাহতের শঙ্কা

ঘন কুয়াশায় হলুদ রং ধারণ করে মরে যাচ্ছে বোরো চারা। দিনাজপুরের হিলির একটি বীজতলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের কৃষকদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। কয়েকদিনের ঘন কুয়াশায় শীতকালীন সবজি খেত ও বোরো বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এ বছর লালমনিরহাটে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৫ হাজার হেক্টর জমির বীজতলা তৈরি হয়েছে। প্রচ- শীতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা, রাতে পানি ঢুকিয়ে সকালে ড্রেনের মাধ্যমে বের করে দেওয়াসহ পটাশ অথবা জিপসাম সার অল্প পরিমাণে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন থেকে টানা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় এসব খেত নষ্ট হতে বসেছে। বাধ্য হয়ে কীটনাশক ছিটিয়ে এবং পলিথিন দিয়ে ঢেকে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। কৃষি অফিস থেকেও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, কয়েকদিন কুয়াশা বেশি পড়ছে। কৃষকের বোরো বীজতলা ক্ষতি না হয় সে জন্য ইউনিয়ন পর্যায়েও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু দিনে রোদ থাকে সে কারণে শীতকালীন সবজির তেমন ক্ষতি হবে না। রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, উত্তরে কয়েকদিন থেকে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আগামী কয়েকদিন লালমনিরহাটসহ এ অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। স্থানভেদে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা বিরাজমান থাকবে।

এদিকে দিনাজপুরের হিলিতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরোর বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। হলুদ ও লাল বর্ণ ধারণ করে মরে যাচ্ছে চারা। বীজতলা রক্ষায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেও ফল পাচ্ছেন না কৃষক। আবহাওয়া এরকম থাকলে চারা সংকটে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এবার ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হিলির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে আমাদের বীজতলাগুলোতে রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ ধানের বীজ হলুদ ও লাল হয়ে যাচ্ছে। কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওষুধ প্রয়োগ করছি।

সর্বশেষ খবর