মাদারীপুরের লঞ্চঘাট-মহিষেরচর এলাকার আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়নি স্বাধীনতার এত বছর পরও। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সেখানে দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। এ কারণে সদর উপজেলার ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। স্কুল, কলেজ ও চিকিৎসাসহ নানান কারণে মাদারীপুর সদরে যেতে হয় প্রতিদিনই। অথচ সেতু না থাকায় দুর্ভোগে পড়ছেন বাসিন্দারা। বারবার সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েও প্রতিকার মিলছে না। তবে জনগণের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানান এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী। জানা গেছে, আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর লঞ্চঘাট এলাকায় ব্রিজ না থাকায় মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা, কালিকাপুর ও ছিলারচরসহ ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিন সদর উপজেলাসহ জেলা শহরে যাতায়াত করতে হয় খেয়া পার হয়ে। রাতে খেয়া বন্ধ থাকে। এতে আরও দুর্ভোগে পড়তে হয় সেখানকার বাসিন্দাদের। স্থানীয়রা জানান, ডিঙ্গি নৌকা ও ট্রলারে যাতায়াতে দুর্ভোগ বাড়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, অফিস-আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের। সেতু না থাকায় শহরের সঙ্গে যোগাযোগ, সুশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এতে তারা পিছিয়ে পড়ছে আর্থসামাজিক উন্নয়নে। তাই ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি, এখানে একটি সেতু নির্মাণ করে উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা। স্থানীয় বাসিন্দা আফজাল হোসেন জানান, সেতু না থাকায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা, অনেক সময় অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। রাতে খেয়া পারাপার বন্ধ থাকে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা টুকু গৌড়া বলেন, নদী পাড়ি দিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর দাবি করে আসছি। আমাদের দুর্ভোগ লাঘবে সরকার দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করবে- এমনটাই প্রত্যাশা করি। মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কির্ত্তনীয়া বলেন, সমস্যা দূর করতে আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর লঞ্চঘাট এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই আমরা সেতুটি নির্মাণ করতে পারব।