বগুড়ায় নেসকোর প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী প্রায় ১ লাখ গ্রাহক ভোগান্তিতে রয়েছেন। মিটারে টাকা রিচার্জ করতে না পারায় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন অনেকে। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় রিচার্জ করা যাচ্ছে না। বিকাশ, নগদসহ যে মাধ্যম ব্যবহার করে রিচার্জ করা হতো সেগুলো দিয়েও টাকা রিচার্জ করতে পারছেন না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর ইন্টারনেট সেবায় ধীর গতি দেখা যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন প্রিপেইড গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ বিভাগের বগুড়ার চারটি জোন অফিসে রিচার্জের ব্যবস্থা করা হলেও সার্ভার ডাউনের কারণে গ্রাহকসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গতকাল চারটি জোন অফিসে হাজার হাজার মানুষ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে মিটার রিচার্জ করার চেষ্টা করেছেন। ৪-৫ ঘণ্টা দাঁড়ানোর পরেও রিচার্জ করতে পারেননি অনেকে। রিচার্জ করতে আসা শহরের কলোনি এলাকার সালমা আক্তার ময়না জানান, বিদ্যুতের মিটারেও টাকা নেই। কোনো মাধ্যম দিয়ে রিচার্জ করতে পারিনি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড গরমে বাড়িতে ছেলেমেয়ে ও বয়স্কদের নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। বগুড়া নেসকো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক জানান, জেলার চারটি জোন মিলে প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক রয়েছে। নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকায় টাকা রিচার্জ করা যাচ্ছে না। গ্রাহকের কথা চিন্তা করে রবিবার বিকাল ৪টার পর থেকে বিনা রিচার্জে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ লাইন সচল করা হবে। যখন টাকা রিচার্জ হবে তখন ব্যবহারের সমপরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হবে।