নাটোরের বড়াইগ্রামে মদ্যপ অবস্থায় সাতজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আবুল কালাম নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ভূঁইয়াপাড়া খ্রিস্টান পল্লিতে রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আবুল কালামকে আটক করেছে। তিনি গোপালপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ওসি শফিউল আযম খান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। রাতেই কালাম মেম্বারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
কালাম সুস্থ হলে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। হামলার শিকার এক নারী রাতেই বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন। ভূঁইয়াপাড়া খ্রিস্টান পল্লির দিপালী রোজারিও জানান, রবিবার সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে আবুল কালাম মদ খেয়ে পল্লির রাস্তায় এক ভ্যানচালককে আটকে টাকা চান। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ভ্যানচালককে মারপিট করেন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আবু তাহের (৫০) ও তার ছেলে শাওন প্রামাণিককেও মারধর করেন ইউপি সদস্য।
মামলার বাদী প্রিসিলা মালো জানান, ঘটনার সময় কালাম হাতে থাকা বাটাম নিয়ে অনেককে তাড়া করেন। একপর্যায়ে গাছে ও দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে নিজেই রক্তাক্ত হন। তার পরও বাড়ির ভিতর ঢুকে নারীদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। তার হামলায় আরও আহত হয়েছেন রূপালী বৃগেল, রায়মন রোজারিও, আলেকজান্ডার মানিক ও দিপালী রোজারিও। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বকর সিদ্দিক জানান, কালামকে সবাই কালাম মাতাল নামে চেনে। তার এমন মাতলামি নতুন নয়। খ্রিস্টান পাড়ায় সে এ ধরনের ঘটনা আরও কয়েকবার ঘটিয়েছে। কালামের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে অভিযোগকারীরাই তাকে (কালামকে) মেরেছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।