নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্র চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ও নামফলক প্রতিস্থাপন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা দেখা গেছে। এর আগে সোমবার দুপুরে শহীদ জিয়ার নাম প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই দিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে বিজয় উল্লাসে নামেন সর্বস্তরের জনগণ। এ সময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মহানগর বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়া হলে প্রবেশ করেন। জিয়া হলের ছাদে শহীদ জিয়ার ভেঙে ফেলা ম্যুরালের জায়গায় নতুন একটি ছবি প্রতিস্থাপন করা হয়। জিয়া হলের প্রবেশপথে অস্থায়ীভাবে শহীদ জিয়া হলের নতুন করে নামকরণ করেন তারা।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে জিয়া হল। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পরপর ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল কে বা কারা রাতের আঁধারে শহীদ জিয়ার ম্যুরাল ভেঙে ফেলে। পরের দিন সকালে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এ ঘটনার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের দায়ী করেন। এর পরপরই জাতীয় সংসদে জিয়া হল ইস্যু তুলে ক্ষোভ ঝাড়েন শামীম ওসমান। জিয়া হল ভেঙে সে স্থানে ছয় দফা মঞ্চ তৈরি করারও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।