বগুড়া সদর থানার ৩৭টি অস্ত্র লুট হওয়ার ঘটনায় উদ্ধার হয়েছে মাত্র ১০টি। এর মধ্যে বগুড়া সান্দার পট্টি থেকে পাঁচটি, চেলোপাড়া থেকে তিনটি ও অন্য একটি স্থান থেকে দুটি উদ্ধার করে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি ২৭টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। বগুড়াবাসী বলছেন, অস্ত্রগুলো উদ্ধার না হলে অপরাধীরা যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।
জানা গেছে, বগুড়া সান্দার পট্টি থেকে পাঁচটি, চেলোপড়া থেকে তিনটি ও অজ্ঞাত স্থান থেকে আরও দুটি অস্ত্র উদ্ধার করে জমা দেওয়া হয়। সূত্রটি জানায়, বিএনপি সমর্থিত এক কাউন্সিলর তার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অস্ত্রগুলো জমা দেন। এখনো ২৭টি অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ৫ আগস্ট বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা বগুড়া সদর থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় লুট হয়ে যায় ৩৭টি অস্ত্রসহ থানার ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পুলিশি কাজের যানবহান, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এসব ঘটনার প্রায় ছয় দিন পর সীমিত আকারে কর্মে ফিরেন পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। বগুড়া সদর থানার ৩৭টি অস্ত্র অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়ার পর ইতোমধ্যে ১০টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাকি অস্ত্রগুলো যে কোনো সময় পাওয়া যাবে। পুলিশ সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।