পঞ্চগড়ে দুই সন্তানসহ গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তারা হলেন- তছলিমা বেগম (৩৫), তার ছেলে সৈকত (১৩) ও সাইয়াম (৮)। আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দলুয়া গ্রামে বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় নবীন ইসলাম জাহিদ (২২) ও রিমন ইসলাম (৩০) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারাসহ চারজন এ হত্যায় জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তছলিমা বেগমের স্বামী আবু সেলিম কাপড় ব্যবসায়ী। বোদা পৌর বাজারে তার কাপড়ের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া তার মুরগির ফার্ম আছে। সেখান থেকে চাকরিচ্যুতির ক্ষোভে এ হত্যা বলে পুলিশকে জানিয়েছেন গ্রেপ্তাররা। গতকাল পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
স্বজনরা জানান, আবু সেলিম দোকান থেকে রাত ১১টার দিকে ফিরে দেখেন বাড়ির প্রধান দরজা খোলা। পরে শোবার রুম লাগোয়া ডাইনিং রুমের দরজায় দাঁড়াতেই মেঝেতে তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
এ ঘটনায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে নবীন ইসলাম জাহিদ ও রিমন ইসলাম নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় জাহিদ ছাড়াও আরও তিনজন জড়িত আছেন বলে স্বীকরোক্তি দিয়েছেন তারা। পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, জাহিদের স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, সেলিমের একটি মুরগির ফার্মে চাকরি করত সেসহ চারজন। তারা হলো- সাজ্জাদুর রহমান বাঁধন, রিমন ইসলাম, রিফাত ইসলাম। নানা অনিয়মের কারণে একসময় তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনার জের ধরেই তারা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ঘটনার দিন রাতে তারা সেলিমকে বাড়িতে খুঁজতে যায়। না পেয়ে প্রথমে ছোট ছেলে সাইয়াম, পরে তার মাকে এবং শেষে বড় ছেলে সৈকতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। সৈকত বোদা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ এবং সাইয়াম ইসলামবাগ মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। এ ঘটনায় সেলিম বাদী হয়ে আটোয়ারী থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি প্রধান আসামির তথ্যমতে বাড়ির পাশের একটি বাঁশবাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।