বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জ শহরে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় আওয়ামী লীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শহরের কোবদাসপাড়ার হান্নান শেখ, একডালা গ্রামের আলী হোসেন, সদর উপজেলার চন্দ্রকোনা গ্রামের ফরিদ মোল্লা, মোহনপুরের জুয়েল, খাস বড়শিমুল গ্রামের আবু কালাম, ইকবাল হোসেন আকন্দ, কদমপাল গ্রামের হায়দার আলী, খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের ফারুক আকন্দ, বিলধলি গ্রামের মাজেদ খান, খামারপাইকোশা গ্রামের আনোয়ার হোসেন, আমিনপুরের শরিফ হোসেন ও ছোনগাছা গ্রামের আবু হানিফ। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, গ্রেপ্তাররা কেউ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এবং কেউ সন্দেহভাজন আসামি। তিনটি হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১২ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। শহর যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক সোহানুর রহমান রঞ্জুু, গয়লা গ্রামের যুবদলকর্মী আবদুল লতিফ এবং জেলা ছাত্রদল সদস্য সুমন শেখ হত্যার ঘটনায় স্বজনরা গত বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক তিনটি মামলা করেন। তিন মামলায় ৪৬৩ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪৫০ জনকে।