বগুড়ার শেরপুরে আলতাদীঘি ফাজিল মাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্য, জমি বন্ধক রেখে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত ও উন্নয়নের নামে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিচার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে মাদরাসা প্রাঙ্গণ ও স্থানীয় বাজার এলাকায় দুর্নীতি বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ঘন্টাব্যাপি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নয় দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব দাবি মানা না হলে ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও ঘোষণা দেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। এখানে শুন্যপদে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করা হয়েছে। অথচ মাদ্রাসার ফান্ডে একটি কানাকড়িও জমা দেওয়া হয়নি। এমনকি মাদরাসার নামে প্রায় সতের বিঘা জমি রয়েছে, সেগুলো বার্ষিক পত্তনী দেওয়ার পরিবর্তে বন্ধক রাখা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমি চার লাখ টাকায় বন্ধক রেখে সম্পুর্ণ টাকা আত্মসাত করা হয়। এছাড়া ল্যাব সহকারি একটি পদের বিপরীতে একাধিক চাকরি প্রার্থীর নিকট থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।
তারা আরো বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে মাদরাসার আয়-ব্যয়ের হিসাব শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর সামনে প্রকাশ করতে হবে। বেহাল শ্রেণীকক্ষগুলো মেরামত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন, ফরম পূরণ, সার্টিফিকেট ও প্রশংসাপত্র নেওয়ার সময় বাড়তি টাকা নেওয়া যাবে না। ছাত্রীদের বিশ্রামাগার দ্রুত মেরামত করে ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক নামাজের জায়গা তৈরি করতে হবে। ভাইস প্রিন্সিপালের ওপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সহনশীল আচারণ নিশ্চিতকরণসহ নয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান জানান তাঁরা।