বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নিয়ে ৪ আগস্ট ঢাকার সাভারের বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন পোশাক শ্রমিক নাজমুল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট মারা যান তিনি।
নাজমুল (২৫) গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নুরপুরের হামিদুল ইসলামের ছেলে। এক বছর আগে রিকশাচালক বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরতে ঢাকার আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ নেন তিনি। স্বপ্ন ছিল অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে সংসার সাজাবেন। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। নাজমুলের বাড়িতে গিয়ে গতকাল দেখা যায়, ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন মা গোলেনুর বেওয়া। এখনো থামেনি তার আর্তনাদ। গোলেনুর বেগম বলেন, আমার ৪ শতক বসতভিটা ছাড়া আর কোনো সহায়-সম্বল নেই। একমাত্র ছেলে নাজমুল। বাবাহারা দুই মেয়েকে অতিকষ্টে বিয়ে দিয়েছি। স্বপ্ন ছিল ছেলেটা চাকরি করে সংসারে সচ্ছলতা ফেরাবে। পুলিশের গুলিতে সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে। কীভাবে জীবিকা নির্বাহ করব, এখন কে ধরবে সংসারের হাল? গাইবান্ধা জেলা বিএনপি সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক বলেন, নাজমুল হোসেনের পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সহযোগিতাও করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও পরিবারটির প্রতি খেয়াল রাখা হবে।