অবশেষে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ব্রিজের নিচের ড্রেনটি ভাঙা শুরু করেছে পৌরসভা। এনিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর পৌর প্রকৌশল বিভাগ গতকাল থেকে ড্রেন ভাঙা শুরু করে। খাগড়াছড়ি শহরের মহিলা কলেজ সড়কের অর্পণা চৌধুরীপাড়া এলাকায় নগর পরিচালনা অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় বিদেশি অর্থায়নে অপরিকল্পিতভাবে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজের নিচে ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়। চলমান ঐতিহ্যবাহী একটি পাহাড়ি ছড়াকে স্বাভাবিক পানি চলাচল ব্যাহত করে ছড়ার ওপর শুধু ১০ ফুটের একটি অংশ নিয়ে ড্রেন নির্মাণকাজ করেছে খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ। জানা গেছে, এখানে দফায় দফায় বন্যায় ডুবে যায় পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকা। পানি কমে গেলে ঠিকাদার ও প্রকৌশল বিভাগ অনেকটা গোপনে ব্রিজের নিচে ছড়ার কাদামাটির মধ্যেই ড্রেন নির্মাণকাজ প্রায় শেষ করে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর পৌর কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। এর পরই পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা ব্রিজের নিচের ড্রেনটি সরেজমিন পরির্দশন করে পৌর প্রকৌশল বিভাগকে তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এলাকাবাসী জানান, এখানে অনেক পুরনো একটি ছড়া ছিল। পৌরসভা এ বড় আকারের ছড়ার স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ব্যাহত করে তার ওপর ১০ ফুটের একটি ড্রেন নির্মাণ করে। ফলে এবারের ৪ দফার বন্যায় অর্পণা চৌধুরীপাড়াসহ কয়েকটি এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এখন ড্রেনটি ভেফু দেওয়ায় পানিপ্রবাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলেও এখন বন্যার ক্ষতির শঙ্কা অনেকটা কম থাকবে বলে জানান।
পৌর প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ব্রিজের নিচের ড্রেনটি ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ড্রেনটি ভাঙা শুরু করেছি। ড্রেনের নিচের পুরো অংশটি ভেঙে দিয়ে ব্রিজের এফারমেন্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে। যাতে পানি আটকে না থাকে। এদিকে পুরাতন জিপ স্টেশনের ছড়াটি আলম ‘স’ মিলের পেছনের এলাকায় পানিপ্রবাহমান ছড়াটির ওপর দেয়াল নির্মাণ করে দেওয়ায় এবারের বন্যায় এ এলাকার বহু বাড়িঘর ডুবে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এ বিষয়ে মালিককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা যে কোনো সময় দেয়ালটি ভেঙে দেব।