নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে তিতাস গ্যাসের লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এ ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৩৪ জন। চার বছর পার হলেও মর্মান্তিক এ ঘটনার বিচার শেষ হয়নি আজও। কান্না থামেনি স্বজনদের। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেক পরিবারে বিরাজ করছে আর্থিক অনটন। টেনেটুনে সংসার চালালেও দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি হলেই যেন কিছুটা স্বস্তি ফিরবে পরিবারে।
২০২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ পড়ার সময় ঘটে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণ। তিতাসের জমে থাকা গ্যাস থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে ৩৪ জনের জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরসহ ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও দায়ী করা হয় তিতাস, ডিপিডিসি ও মসজিদ কমিটিকে। ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিনের হাতে ৪০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি। তদন্তে গ্যাসলাইনে লিকেজ, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট, মসজিদ কমিটির অবহেলা ও রাজউকের অব্যবস্থাপনাকে বিস্ফোরণের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
মামলার বর্তমান বিচার কার্যক্রম প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সোলাইমান মিয়া পারুল বলেন, ‘আমরা চার্জশিট থেকে মসজিদ কমিটিকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। সেই মৃত ব্যক্তির কাগজ এলে আগামী তারিখে শুনানি হবে।’ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, ‘মামলাটির বিচারের জন্য তদন্ত শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেখানে আটজন আসামি বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। মামলাটি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পূর্ণভাবেই বিচারাধীন রয়েছে। যাদের আইনের আওতায় আনার জন্য বলা হয়েছিল তাদের আনা হয়েছে।’